ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়ছে পেয়াজের দাম, ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ

ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়ছে পেয়াজের দাম, ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ

কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না পেয়াজের বাজার। সংসদে শিল্পমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের পর পেয়াজের বাজার যেন পাগলা ঘোড়ার মতো লাফাচ্ছে। এ যেন মন্ত্রীর প্রতি পেয়াজের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া। দাম বাড়ছে প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায়। বাজারে গিয়ে অনেকেই এখন পেয়াজ না কিনে বাড়ি ফিরছেন।

অনেকে আবার পেয়াজ খাওয়া বন্ধের ঘোষণা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাসও দিচ্ছেন। ফেসবুক ওপেন করলেই বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে পেয়াজ নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। বিশিষ্ট জনেরা প্রশ্ন তুলেছেন-পেয়াজের দাম আর কত বাড়লে মন্ত্রীর পদত্যাগ চাওয়া যায়? বাণিজ্যমন্ত্রীর অপসারণ চেয়েও অনেকে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন।

ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি অনেকে আবার পেয়াজ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রসিকতাও করছেন।

এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবারই ডাবল সেঞ্চুরি করেছিল পেঁয়াজ। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্তও নটআউট অবস্থায় আছে। শুক্রবার সকাল থেকে ২৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে পেয়াজ। এমনকি সন্ধ্যা নাগাদ রাজধানীতে পেয়াজের ত্রিপল সেঞ্চুরি করার খবরও পাওয়া গেছে। একটি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, রাজধানীর মোহাম্মদপুরে দেশি পেঁয়াজের মূল্য কেজি প্রতি ৩০০ টাকা, ভারতীয় ২৫০, মিশরের পেঁয়াজ ২৪০ টাকা হিসাবে বিক্রি হচ্ছে।

গত চার দিনে পিয়াজের দাম বাড়লো ৮০-১০০ টাকা। এর আগে কখনো দেশের বাজারে এত দামে পিয়াজ বিক্রি হয়নি। দাম আরো্ বাড়ার আশঙ্কা করছেন ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা।

কারওয়ান বাজারে পাইকারী বাজারেই প্রতি কেজি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়। যা খুচরা বাজারে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ২৫০টাকা থেকে ২৬০ টাকায়।

ব্যবসায়ীরা জানান, দেশি পিয়াজ গতকাল ২০০ থেকে ২১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। শুক্রবার তা বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৬০ টাকা দরে। দাম আরো বাড়তে পারে বলেও জানান তারা।

মগবাজারের আল আমিন গণমাধ্যমকে জানান, সেখানে দেশি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়। মিশর থেকে আমদানি করা পিয়াজ ২৩০ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ধানমন্ডির

এএসএম মুসা জানান, শুক্রাবাদ বাজারে ভালো মানের পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৫৫ টাকায়। একটু নিম্নমানের পিয়াজ ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এমআই