কসবায় গ্যাস-পানি উদগিরণ বন্ধ, কোটি টাকার ক্ষতি

কসবায় গ্যাস-পানি উদগিরণ বন্ধ, কোটি টাকার ক্ষতি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার বিদ্যানগর শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ে নলকূপ বসাতে করা বোরিংয়ের মুখ দিয়ে বালি, পানি ও গ্যাস উদগিরণ বন্ধ হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে উদগিরণের স্থানটি স্থির রয়েছে। এর আগে বুধবার সকাল ৮টা থেকে প্রচন্ড বেগে বোরিংয়ের মুখ দিয়ে বালি, পানি ও গ্যাস উদগিরণ হতে শুরু করে। এতে বিদ্যালয়ের একপাশের সীমানা প্রাচীর এবং শহীদ মিনার ভেঙ্গে পড়ে। পরে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে চলে যান। এটি বন্ধ হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্থি ফিরে এসেছে। তবে দু’দিন ধরে বালি, পানি ও গ্যাস উদগিরণ হওয়ায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আল মামুন ভূইয়া জানিয়েছেন, বিদ্যালয়ের দু’টি ভবনই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। একটির নিচ থেকে মাটি সরে গেছে।

সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে গেছে। এতে ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া এলাকার পুকুরের মাছ ও জমির ফসল নষ্ট হওয়ায় আরো ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। সর্বসাকুল্যে কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরো জানান, এটি বন্ধ হওয়ায় আজ বিদ্যালয়ের পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করছেন তারা। আগামীকাল রবিবার থেকে ক্লাস শুরু করবেন। বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে মাটি সরাতে হবে। খাবার পানির ব্যবস্থা করতে হবে। শহীদ মিনার নির্মাণ করতে হবে।

শেরেবাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ে গত ২রা ফেব্রুয়ারী থেকে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বরাদ্ধকৃত একটি গভীর নলকূপ বসাতে বোরিং করার কাজ শুরু হয়। বোরিং শেষ হওয়ার পর ৫ই ফেব্রুয়ারী থেকে এর মুখ দিয়ে প্রচন্ড বেগে গ্যাস, পানি ও বালি উদগিরণ হতে থাকে। ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে ছুটে আসেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। পরে লাল নিশান দিয়ে এর আশপাশে বেষ্টনি দিয়ে দেন। এলাকায় মাইকিং করে সতর্ক করা হয় সবাইকে। খবর পেয়ে বাপেক্সের কর্মকর্তারা সেখানে এসে নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যান। ৭২ ঘন্টা পর এই উদগিরনের কারণ জানানোর কথা বলেন তারা।