আটা-ময়দার সঙ্গে বেড়েছে চালের দাম

আটা-ময়দার সঙ্গে বেড়েছে চালের দাম

রাজধানীর খুচরা বাজারে আটা-ময়দার সঙ্গে নতুন করে বাড়ছে চালের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে সরু ও মাঝারি আকারের চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ২-৩ টাকা। পাশাপাশি বাজারে ব্রয়লার মুরগি ও ভোজ্যতেল চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। যে কারণে পণ্যগুলো কিনতে ক্রেতার বাড়তি টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে।

এদিকে রোববার সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) বলছে, প্রতি কেজি সরু চাল সপ্তাহের ব্যবধানে ২ দশমিক ৪৮ শতাংশ বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি আকারের প্রতি কেজি চাল বিক্রি হচ্ছে ২ দশমিক ৯১ শতাংশ বেশি দরে। প্রতি কেজি প্যাকেট জাত আটা বিক্রি হচ্ছে ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। পাশাপাশি প্যাকেটজাত ময়দা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২ দশমিক ১১ শতাংশ বেশি দরে। প্রতি লিটার ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৯২ শতাংশ, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২ দশমিক ৭৮ শতাংশ, আলু ১১ দশমিক ১১ শতাংশ বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীর মালিবাগ কাঁচাবাজারের খালেক রাইস এসেন্সির মালিক ও খুচরা চাল বিক্রেতা মো. দিদার হোসেন যুগান্তরকে বলেন, এই সময় চালের দাম বাড়ার কথা নয়। কিন্তু মিল পর্যায় থেকে চালের দাম বাড়ানোর কারণে পাইকারি ও খুচরা বাজারে চালের দাম বাড়ছে। সে ক্ষেত্রে প্রতি কেজি সরু চাল আগে সর্বনিম্ন ৫৬ টাকায় পাওয়া গেলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৮-৫৯ টাকা। আর সপ্তাহ খানেক আগে সর্বোচ্চ ৬৬ টাকায় পাওয়া গেলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৬৮ টাকা। এ ছাড়া মাঝারি আকারের চাল প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৫৭ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ৫৫ টাকা।

রাজধানীর বাজারে খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোববার প্রতি কেজি প্যাকেটজাত আটা বিক্রি হয়েছে ৩৮-৪২ টাকা; যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ৩৫-৪০ টাকা। পাশাপাশি প্রতি কেজি প্যাকেটজাত ময়দা বিক্রি হয়েছে ৫২ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগে ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতিলিটার খোলা সয়াবিন বিক্রি হয়েছে ১৪৫ টাকা, যা সপ্তাহখানেক আগে ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হয়েছে ৭৩০ টাকা, যা আগে ৭২০-৭২৫ টাকা ছিল। এক লিটার পাম অয়েল সুপার বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকা, যা আগে ১৩৫ টাকা ছিল।

রাজধানীর কাওরানবাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা মো. রাকিব বলেন, সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বাড়তি। এর মধ্যে চালের দাম বাড়তে শুরু করেছে। এমন হলে খেয়ে বাঁচা খুব মুশকিল হয়ে যাবে। তাই বাজার তদারকি করতে হবে। তা না হলে ক্রেতার নাভিশ্বাস আরও বাড়বে।

জানতে চাইলে বাজার তদারকি সংস্থা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপ-পরিচালক পর্যায়ের এক কর্মকর্তা বলেন, বাজারে পণ্যের দাম ভোক্তাবান্ধব রাখতে অধিদপ্তরের পক্ষ থকে সার্বিকভাবে বাজার তদারকি করা হচ্ছে। অনিয়ম সামনে এলেই আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। এতে কিছু কিছু পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে। পাশাপাশি অভিযান অব্যাহত আছে, আশা করি দাম আরও কমে আসবে।