বাড়তি দামে তেল-ডাল বিক্রি

‘বেতন ১ টাকাও বাড়েনি, সবকিছুর দাম বেড়েছে’

‘বেতন ১ টাকাও বাড়েনি, সবকিছুর দাম বেড়েছে’

সয়াবিন তেল ও মসুর ডালের দাম বাড়িয়ে বিক্রি শুরু করেছে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১০ টাকা বাড়িয়ে ১১০ টাকা করা হয়েছে। আর ৫ টাকা বাড়িয়ে প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম ৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

ঢাকাসহ সারা দেশে বুধবার বাড়তি দামে তেল ও মসুর ডাল বিক্রি শুরু করে সংস্থাটি। তবে চিনির দাম বাড়ানো হয়নি। সংস্থাটি প্রতি কেজি চিনি ৫৫ টাকায় বিক্রি করছে।

এর আগে গত মার্চে টিসিবি সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ১০ টাকা ও চিনির দর কেজিপ্রতি ৫ টাকা বাড়িয়েছিল। নতুন করে দাম বাড়ানোর বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির বলেন, বাজারের সঙ্গে দামের পার্থক্য বেশি হলে পণ্য কালোবাজারি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৫৫-১৬০ টাকা, চিনি প্রতি কেজি ৮০ টাকা ও মাঝারি দানার মসুর ডাল প্রতি কেজি ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারের তুলনায় দাম কম হওয়ায় টিসিবির ট্রাকের পেছনে ভিড় রয়েছে। সকালে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, টিসিবির পণ্য এবং খাদ্য অধিদপ্তরের খোলাবাজারে বিক্রি (ওএমএস) কর্মসূচির চাল-আটার ট্রাক কাছাকাছি দাঁড়ানো। দুটো ট্রাকের পেছনেই মানুষের দীর্ঘ সারি।

টিসিবির ট্রাকের পেছনে দাঁড়িয়ে ছিলেন গাড়িচালক মো. হেলাল উদ্দিন। তিনি দুই ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন মোহাম্মদপুরের ভাঙা মসজিদ এলাকায়। তিনি বলেন, দুই বছরে বেতন এক টাকাও বাড়েনি। কিন্তু সবকিছুর দাম বেড়েছে।

হেলাল উদ্দিন টিসিবির ট্রাক থেকে দুই লিটার তেল এবং দুই কেজি করে চিনি ও ডাল কেনেন। এতে তাঁর ব্যয় হয় ৪৫০ টাকা। তেল ও ডালের দাম বাড়ানোর কারণে তাঁকে বেশি দিতে হয় ৩০ টাকা। তিনি বলেন, টিসিবি দাম বাড়িয়েছে। পণ্যের পরিমাণও কমিয়ে দিয়েছে।