বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের সমস্যাগুলো কী কী?

বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের সমস্যাগুলো কী কী?

বাংলাদেশে ব্যাংক খাতে নিয়ে গুজব ছড়ানোর অভিযোগ এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। এরমধ্যে বৃহস্পতিবার চার জনকে এবং গত ৮ই জানুয়ারি আরো ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

পুলিশ বলছে যে, গ্রেফতারকৃত কয়েক জন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের কর্মকর্তা। তারা ব্যাংকটি সম্পর্কে মনগড়া তথ্য দিয়ে মানুষকে আতঙ্কের মধ্যে ফেলছিল।

পুলিশ বলছে, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হওয়ার খবর একটি গুজব।

দেশের অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো এখনো দেউলিয়া না হলেও আসলে সেগুলোতে অনেক সমস্যা রয়েছে। আর এসব সমস্যার অনেকগুলো এরইমধ্যে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমেও চোখে পড়েছে।

বিশেষ করে, সরকারি আর বেসরকারি ব্যাংকখাতের নিজেদের ব্যালেন্সশিটে শুভঙ্করের ফাঁকি রয়েছে বলেও মনে করেন অনেক অর্থনীতিবিদ।

এসব সমস্যাকে গুজব হিসেবে উড়িয়ে দেয়াটা সমস্যা অস্বীকার করার শামিল বলে মনে করেন বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক লিড ইকোনস্টি ড. জাহিদ হোসেন।

এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া না হলে ভবিষ্যতে এসব সমস্যা ব্যাংক খাতে আস্থার অভাব তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

অর্থনীতিবিদরা মোটা দাগে কয়েকটি সমস্যা চিহ্নিত করেছেন। এগুলো হচ্ছে:

১. অনাদায়ি বা খেলাপি ঋণ:

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের অন্যতম বড় সমস্যা হচ্ছে অনাদায়ি বা খেলাপি ঋণ। তারা বলছেন যে, বাংলাদেশে এই সমস্যা আসলে নতুন কিছু নয়। বছরের পর বছর ধরে এটি চলে আসলেও এই সমস্যার সমাধানে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয না। এর আগে আন্তর্জাতিক মুদ্রা সংস্থা আইএমএফ বলেছিল যে, বাংলাদেশে বিতরণকৃত ঋণের এক তৃতীয়াংশই খেলাপি।

তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ প্রকাশিত পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ এক লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকা। যা মোট প্রদত্ত ঋণের নয় দশমিক ৩৬ শতাংশ। আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী, কোনো দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ২-৩ শতাংশের বেশি হওয়া উচিত নয়।

দু'হাজার একুশ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিলে এক লাখ দেড় হাজার কোটি টাকা। এই হিসাব অনুযায়ী, এক বছরের ব্যবধানে দেশে খেলাপি ঋণ বেড়েছে সাড়ে ৩২ হাজার কোটি টাকা। শতকরার হিসাবে এটি ৩২ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাড়িয়েছে ৬০ হাজার কোটি টাকার বেশি। এসব ব্যাংকের বিতরণকৃত ঋণের ২৩ শতাংশই খেলাপি। আর বেসরকারি ব্যাংকে এই পরিমাণ আরো বেশি। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের বেসরকারি ব্যাংকের কেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৬৬ হাজার ৬৯৫ কোটি টাকা।

২. প্রভিশন কম দেখানো:

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ব্যাংকখাতের অন্যতম বড় সমস্যা হচ্ছে ব্যাংক খাতের ব্যালেন্স শিটে। এখানে অনেক তথ্য ভুলভাবে প্রদর্শন করা হয় বলে মত তাদের।

তারা বলছেন, ব্যাংকের সম্পদগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় অংশ হচ্ছে ব্যাংক থেকে বিতরণ করা ঋণ। এই ঋণের মধ্যে ভাল ঋণ কতটা আর মন্দ ঋণ কতটা সে হিসাব প্রায়ই ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। আর্থিক বিশ্লেষণে ভাল ঋণ বলতে কোন ঋণ বিতরণ করার পর সেটি নির্দিষ্ট সময়ে সুদে-আসলে ফেরত পাওয়া গেলে তাকে ভাল ঋণ বলে। আর কোন ঋণ সুদে-আসলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফেরত পাওয়া না গেলে তাকে মন্দ ঋণ বলা হয়।

কোন ব্যাংকে যদি মন্দ ঋণ বা নন-পারফর্মিং লোন বা আরো বড়ভাবে দুর্দশাগ্রস্ত ঋণ বেশি থাকে, তাহলে বলা হয় যে, সেই ব্যাংকের সম্পদের মান ভাল নয়। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক এখন আর কোন ব্যাংকের দুর্দশাগ্রস্ত ঋণ কত তা আর প্রকাশ করে না।

দুর্দশাগ্রস্ত ঋণ সামাল দেয়ার মতো সক্ষমতা যে সূচক দিয়ে নির্দেশ করা হয় সেটা হচ্ছে ক্যাপিটাল অ্যাডিকুয়েসি রেশিও বা পর্যাপ্ত মূলধনের পরিমাণ কেমন। আরেকটি হচ্ছে, যে ঋণগুলো দুর্দশাগ্রস্তের তালিকায় রয়েছে সেগুলো ঠিক মতো প্রভিশন করা হচ্ছে কিনা।

বিশ্ব ব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশে বিশেষ করে রাষ্ট্রায়ত্ব এবং নতুন কিছু ব্যাংক দুর্দশাগ্রস্ত ঋণগুলোকে ভুলভাবে প্রভিশন করে অতিরিক্ত মুনাফা দেয়া হয়।

প্রভিশন করা মানে হচ্ছে, যে ঋণগুলো দুর্দশাগ্রস্ত হওয়ার কারণে শ্রেণীকরণ করা হয়েছে সেগুলো আর ফেরত পাওয়া যাবে না ধরে নিয়ে একটি নির্দিষ্ট শতাংশ পরিমাণ ব্যাংকের মুনাফা থেকে কমিয়ে দেখাতে হয়। যাতে ঋণ দেয়া টাকা ফেরত পাওয়া না গেলেও ওই টাকাটা ব্যাংক তার মুনাফা থেকে জমা রাখে যাতে আমানতকারীদের চাহিদা মেটাতে সমস্যা না হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, যদি কোন ঋণের কিস্তির তারিখ ১৮০ দিনের মধ্যে কিস্তি পাওয়া না যায় তাহলে একে ডাউটফুল বা সন্দেহজনক শ্রেনীতে ফেলতে হবে এবং একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা মুনাফা থেকে কমিয়ে তা সঞ্চয় করে রাখতে হবে।

৩৬৫ দিনের মধ্যে পাওয়া না গেলে এটি চলে যায় সাবস্ট্যান্ডার্ডে এবং দু'বছরের মধ্যে কোন কিস্তি পাওয়া না গেলে তা খেলাপি হিসেবে ধরে নিয়ে শতভাগ টাকা ব্যাংকের মুনাফা থেকে কমিয়ে তা সঞ্চয় হিসেবে রাখতে হয়।

মি. হোসেন বলেন, এই প্রভিশন করার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো যেখানে হয়তো পাঁচ শতাংশ টাকা সঞ্চয় করার কথা সেখানে তারা দুই শতাংশ করে। ফলে একদিকে যেমন অতি মুনাফা দেখায় ব্যাংকগুলো, অন্যদিকে তেমন ব্যাংকের সম্পদের মানও কমে যায়।

আবার অনেক ব্যাংক এর উল্টোটাও করে। অর্থাৎ তারা প্রভিশন বাড়িয়ে দেখিয়ে মুনাফা কম দেখায়। ভাল ব্যাকগুলোতে এ ধরণের চর্চা দেখা যায় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

অনেক সময় আবার খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ খেলাপিদের জন্য বিশেষ সুবিধা দিয়ে থাকে। যেমন, গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক ঘোষণা করে যে, ওই বছরের শেষ প্রান্তিক অর্থাৎ অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণের কিস্তির টাকার ৫০ শতাংশ পরিশোধ করলে সেই ঋণ আর খেলাপি ঋণ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে না। আগে এই নিয়ম ছিল কিস্তির অন্তত ৭৫ শতাংশ পরিশোধ করতে হবো।

ব্যাংকগুলোও অনেক সময় ঋণ গ্রহীতাদের সাথে আলাপ আলোচনা করে খেলাপি ঋণ পুনর্গঠন বা পুনঃতফসিলি করণ করা হয়। অর্থাৎ একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধের শপথ করানোর মাধ্যমে সেই ঋণকে খেলাপি বলে চিহ্নিত না করা। এটা আইনি হলেও বাংলাদেশে যেটা হয় তা হচ্ছে, স্বজনপ্রীতি বা প্রভাব খাটিয়ে অনেকে ঋণকে খেলাপির তালিকায় পড়া থেকে বাঁচায়। আর এই সুযোগে ব্যাংকগুলো ওই ঋণের সমপরিমাণ অর্থ আর তাদের মুনাফা থেকে বাদ দেয় না।

বিশ্বব্যাংকের সাবেক লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশে “যখন আমরা অফিসিয়ালি বলছি যে এনপিএল রেশিও ১১-১২%, টোটাল ডিসট্রেসড অ্যাসেট অর্থাৎ পুনঃতফসিলিকৃত, পুনর্গঠিত এবং খেলাপি-এই তিনটা মিলে প্রায় ২৫-২৬% প্রায়, পুরো ব্যাংকিং সিস্টেমের।”

দেশের অর্থনীতি ও ব্যাংকখাতের জন্য খেলাপি ঋণ একটি বড় সমস্যা বলে চিহ্নিত করেন অর্থনীতিবিদরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোতে ক্যাপিটাল অ্যাডুকোয়েসি রেশিও বা পর্যাপ্ত মূলধনের হারও মোট সম্পদের ১২% মূলধন থাকতে হবে। আর এটি দিতে হবে ব্যাংকের মালিককে।

তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন যে, বাংলাদেশের অনেক ব্যাংকেই পর্যাপ্ত মূলধন নেই। আর এটি ব্যাংক খাতের একটি বড় সমস্যা।

৩. তারল্য সংকট:

ব্যাংকগুলোতে নগদ টাকার যে সরবরাহ তাকেই তারল্য বলা হয়। কোন কারণে ব্যাংকে নগদ টাকার সরবরাহের তুলনায় চাহিদা বেড়ে গেলে তাকে তারল্য সংকট বলে। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, তারল্য সংকট ব্যাংকখাতের স্বাস্থ্য সম্পর্কে ধারণা দেয়। এটা সামগ্রিক অর্থনীতিরই বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে ব্যাংকগুলোতে তারল্যের উপর চাপ বাড়ছে। আর তারল্যের উপর চাপ বাড়লে মানুষের মনে শঙ্কা তৈরি হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে এখনো তারল্য উদ্বৃত অবস্থায় আছে। তবে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, ধীরে ধীরে এই উদ্বৃত্ত তারল্যের সংখ্যা কমছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ২০২১ সালের জুন মাসে তারল্য উদ্বৃত্ত ছিল দুই লাখ ৩১ হাজার কোটি টাকা। ২০২২ এর জুনে এটি কমে দাঁড়ায় এক লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকায়। আর একই বছরের অক্টোবর নাগাদ এটি এসে ঠেকে এক লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকায়। অর্থাৎ ১৬ মাসে বাংলাদেশের ব্যাংক ব্যবস্থায় তারল্য কমেছে ৬২ হাজার কোটি টাকারও বেশি।

তারল্য সংকট বোঝা যায়, কোন ব্যাংকে তারল্য সংকট দেখা দিলে তারা তখন নির্দিষ্ট সুদের বিনিময়ে অন্য ব্যাংক থেকে টাকা ধার করতে শুরু করে নির্দিষ্ট সুদের বিনিময়ে। এই সুদের হারকে বলে কলমানি রেট নামে। ২০২২ সালের জুনের তুলনায় নভেম্বরের কলমানি রেট ২.২৫% থেকে ৫.৮০% শতাংশে দাড়িয়েছে। তার মানে হচ্ছে তারল্যের উপর চাপ রয়েছে।

৪. জালিয়াতি:

জালিয়াতিও বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের একটি বড় সমস্যা বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। তারা বলছেন, কেউ প্রভাব প্রতিপত্তি খাটিয়ে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে উধাও হয়ে যায়। সেগুলো আর খেলাপি ঋণ না বরং সেগুলোর আর অস্তিত্বই মেলে না কখনো।

এর ফলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের উপর মানুষের আস্থা থাকে না।

গত নভেম্বরে বাংলাদেশের একটি শীর্ষ স্থানীয় পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয় যে, ইসলামী ব্যাংক থেকে আটটি প্রতিষ্ঠানের নামে প্রায় ৭০০০ কোটি টাকা তুলে নেয়া হয়েছে। পরে এ ঘটনার তদন্ত চেয়ে দুর্নীতি বিরোধী প্রতিষ্ঠান দুদকের কাছে চিঠিও পাঠান কয়েক জন আইনজীবি।

এরআগে ২০১১-১২ সালে বেসিক ব্যাংকের প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র পাওয়ার কথা জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ ধরণের ঘটনা ব্যাংকিং খাতের উপর জনগণের আস্থাহীনতা তৈরি করে।

৫. রেগুলেশনে শিথিলতা:

ব্যাংকগুলোতে সুশাসনের অভাব এবং দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসার পর কঠোর ব্যবস্থা না নেয়াও ব্যাংকিং খাতের একটি বড় সমস্যা বলে চিহ্নিত করা হয়।

উদাহরণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ইসলামি ব্যাংকগুলো থেকে নিয়মবহির্ভূতভাবে একটি প্রতিষ্ঠানের বড় অংকের টাকা ঋণ নেয়ার পর ইসলামি ব্যাংকে একজন পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, এই পর্যবেক্ষকের হাত আসলে তেমন কোন ক্ষমতা নেই। তিনি বিভিন্ন বোর্ড মিটিংয়ে অংশ নেবেন এবং সে হিসেবে প্রতিবেদন তৈরি করবেন। তবে এ ধরণের গুরুতর অভিযোগের প্রেক্ষিতে রেগুলেটরি সংস্থার আরো কঠোর পদক্ষেপ নেয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।

উল্লেখ্য বাংলাদেশে অন্য সব ব্যাংকের রেগুলেটরি সংস্থা হিসেবে কাজ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এছাড়া বাংলাদেশে কয়েক মাস আগে যখন ডলার সংকটের কথা সামনে এসেছিল, তখনও এটিকে গুজব বলেই উড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। তবে এর কিছু দিন পর থেকেই ডলারের খরচ কমাতে সরকারের নেয়া নানা কৃচ্ছতা নীতি ডলার সংকটের বিষয়টিকে পাকাপোক্ত করে।

এর পর থেকে নানা সময়ে দেশে ডলারের সংকট নেই বলে দাবি করা হলেও আসলে বাস্তবে তার উল্টো চিত্র দেখা গেছে। আমদানি ও রপ্তানীতে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা অভিযোগ তুলেছেন যে, ডলার সংকটের কারণে তারা পণ্য আমদানির এলসি খুলতে পারছেন না। সবশেষ চলতি মাসেই ডলার সংকটের কারণে এলসি খুলতে না পারায় কয়লা আনতে পারেনি রামপাল তাপবিদ্যুত কেন্দ্র। যার কারণে গত ১৩ই জানুয়ারি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। -বিবিসি বাংলা