জাতিসংঘের সিডিপির সদস্য হলেন ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

জাতিসংঘের সিডিপির সদস্য হলেন ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

ঢাকা, ২৫ আগস্ট (জাস্ট নিউজ) : বাংলাদেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও নীতি বিশ্লেষক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট (সিডিপি)-এর সদস্য নিযুক্ত হয়েছেন।

জাতিসংঘের মহাসচিবের সুপারিশে জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ (ইকোসক)-এর সাম্প্রতিক অধিবেশনে সিডিপির সদস্য হিসেবে ড. দেবপ্রিয়কে তিন বছরের জন্য নিযুক্ত করা হয়েছে। রবিবার সিপিডির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

দেবপ্রিয় বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম আর্থ-সামাজিক উন্নয়নবিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো হিসেবে কর্মরত আছেন।

১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত সিডিপি জাতিসংঘের অধীনে একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান যা স্বল্পোন্নত দেশসমূহের অনুকল্পে উন্নয়ন সহযোগিতা সম্পর্কিত নীতি পরামর্শ দিয়ে থাকে। প্রতি তিন বছর পরপর সিডিপি স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা পর্যালোচনা করে থাকে এবং এই তালিকায় নতুন অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং তালিকা থেকে বের হওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন দেশ চিহ্নিত করে।

বর্তমানে সিডিপি স্বল্পোন্নত দেশ চিহ্নিত করার সূচকগুলো পুনর্বিবেচনা করছে। এলডিসি তালিকা থেকে বের হয়ে যাওয়া দেশগুলো কি সাহায্য দেয়া যায় তাও আলোচনা করছে।

একই সঙ্গে সংস্থাটি ২০২৪ সালে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশ থেকে উত্তরণের সামগ্রিক অগ্রগতিও পর্যালোচনা করবে।

ড. দেবপ্রিয় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত স্বল্পোন্নত দেশ বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ। জাতিসংঘসহ জেনেভা ও ভিয়েনায় অবস্থিত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি জেনেভায় জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশসমূহের সমন্বয়ক ছিলেন। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার বহু উচ্চ পর্যায়ের আলোচনায় স্বল্পোন্নত দেশের পক্ষে নেতৃত্বমূলক ভূমিকা রেখেছেন। তিনি আঙ্কটাড মহাসচিবের স্বল্পোন্নত দেশ বিষয়ক বিশেষ উপদেষ্টা ছিলেন এবং ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশসমূহের চতুর্থ সম্মেলন প্রস্তুতিতে অবদান রেখেছেন।

তিনি আঙ্কটাড গভর্নিং বোর্ডের সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে ড. দেবপ্রিয় দুটি আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক এলডিসি ফোর মনিটর এবং সাউদার্ন ভয়েস অন এসডিজির সভাপতি। ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য-এর পূর্বে বাংলাদেশ থেকে এই কমিটির সদস্য ছিলেন স্বনামধন্য অর্থনীতিবিদ প্রফেসর নুরুল ইসলাম, প্রফেসর রেহমান সোবহান এবং প্রফেসর ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

(জাস্ট নিউজ/একে/২১১৯ঘ.)