ঘোড়ার গাড়ি দিয়ে ‘জান্নাত’ সিরিয়ালের প্রচারণা

ঘোড়ার গাড়ি দিয়ে ‘জান্নাত’ সিরিয়ালের প্রচারণা

ঢাকা, ১৪ অক্টোবর (জাস্ট নিউজ) : এটিএন বাংলায় প্রচার শুরু হচ্ছে তুর্কির জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত তুর্কি রোমান্টিক সিরিয়াল ‘জান্নাত’। ২৫০ পর্বের মেগা সিরিয়ালটি বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের পথিকৃৎ প্রতিষ্ঠান এবং দেশের প্রথম ইউটিউব গোল্ডেন বাটন রিসিভার ‘বঙ্গ বিডি’।

রবিবার থেকে শুরু হওয়া এ সিরিয়ালিটির জন্য অভিনব প্রচারণা চালানো হচ্ছে। সকাল দশটা থেকে চারুকলার সামনে থেকে ব্যান্ড পার্টি সহকারে সুসজ্জিত ঘোড়ার গাড়িতে প্রচারণা শুরু হয়।

ধাবাহিকটির গল্পের কেন্দ্রে আছে জান্নাত, সেলিম আর মেলিসার ত্রিভুজ প্রেমের জটিল সমীকরণ! এই তিনজনকে নিয়েই ঘোড়ার গাড়ি গুলো প্রদক্ষিণ করবে ঢাকা শহর। এই প্রচারণার জন্য ব্যবহার করা হয় তিনটি সুসজ্জিত ঘোড়ার গাড়ি। প্রতিটি গাড়িতেই থাকে জান্নাত, সেলিম আর মেলিসার প্রক্সি। ত্রিভুজ প্রেমের এই তিন চরিত্রের আদলে সাজানো হয় নয় জন মডেলকে। সেই মডেলরাই তাদের প্রতিনিধি হিসেবে তিনজন করে থাকে তিনটি ঘোড়ার গাড়িতে।

তাদের নিয়ে ফুলে-ফুলে সাজানো ঘোড়ার গাড়ি তিনটি ব্যান্ড পার্টি সহকারে প্রদক্ষিণ শুরু করে ঢাকা। একটি ঘোড়ার গাড়ি যাত্রাবাড়ি-সায়েদাবাদ থেকে মতিঝিল হয়ে কারওয়ান বাজার, একটি ধানমন্ডি থেকে মিরপুর হয়ে গুলশান-বনানী এবং আরেকটি খিলক্ষেত থেকে নিকেতন-উত্তরা হয়ে টঙ্গি প্রদক্ষিণ করে।

জান্নাত সিরিয়ালটি কোরিয়ান জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘টিয়ার্স অব হ্যাভেন’- এর কাহিনি অবলম্বনে পরিচালনা করেছেন তুর্কি নির্মাতা সাদুলাহ জেলেন। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে সিরিয়ালটি প্রচারিত হয়েছে তুরস্কের শীর্ষস্থানীয় চ্যানেল এটিভিতে। সেই সিরিয়ালটি এবার বাংলাদেশের এটিএন বাংলা প্রচার করছে রবিবার থেকে।

চ্যানেল সূত্র জানায়, সপ্তাহের ৫ দিন, রবি থেকে বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৩০ মিনিটে এটি নিয়মিত প্রচার হবে।

এছাড়াও এর আগ থেকেই এটিএন বাংলা ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম বঙ্গ-তে ধারাবাহিকটির ট্রেইলার প্রচারণা করা হচ্ছে। সম্প্রচার শুরুকে সামনে রেখে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতেও ব্যাপক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। বিশেষ করে ফেসবুকে সিরিয়ালটির অফিসিয়াল পেইজে লাইক-ফলোয়ারের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ১৮ হাজার ছাড়িয়েছে।

শুধু তাই নয়, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গ্রুপগুলোতেও সিরিয়ালটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। এবং আনন্দের বিষয় হলো, প্রায় সবার কাছ থেকেই ইতিবাচক সাড়া মিলছে।

(জাস্ট নিউজ/এমজে/১৮১৫ঘ.)