অনেক পরিচালকই তাকে মুখের উপর না করে দিতেন

অনেক পরিচালকই তাকে মুখের উপর না করে দিতেন

বলিউডে বর্তমানে তুমুল ব্যবসা করছে রণবীর সিংয়ের ‘সিম্বা’। ছবিতে রণবীর সিংয়ের সঙ্গে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেছেন সিদ্ধার্থ যাদব। এই জায়গায় পৌঁছনোর জন্য কতই না লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন ৩৭ বছর বয়সী এই অভিনেতা।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সিদ্ধার্থ জানান, অভিনয় জীবনের শুরুর দিকে তাকে অনেক পরিচালকের কাছ থেকেই ‘না’ শুনতে হয়েছে। গায়ের রং কালো, দাঁতের মাঝে ফাঁক— এই সব বলে অনেক পরিচালকই মুখের উপর তাকে না করে দিতেন।

আনন্দ বাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিনয়ে হাতেখড়ি হওয়ার আগে পুলিশ অফিসার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন তিনি। পুলিশ না হলেও ঠিকই ‘সিম্বা’ ছবিতে পুলিশ অফিসার সন্তোষ তাওড়ের ভূমিকায় অভিনয় করে শিরোনামে আসে সিদ্ধার্থ।

১৬ বছর ধরে বলিউডের একের পর এক ছবিতে কাজ করছেন সিদ্ধার্থ। বহু মারাঠি ছবিতে দেখা গেছে তাকে। রোহিত শেট্টিও বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। ‘গোলমাল’, ‘গোলমাল রিটার্নস’ এই দুই ছবিতে সিদ্ধার্থের অভিনয় অনেকেরই মনে আছে। টেলিভিশনের বেশ কিছু সিরিয়াল এবং কিছু কমেডি শোতেও অভিনয় করেছেন এই অভিনেতা।

সিদ্ধার্থ বলেন, ‘১৯৯৯ সালে হিন্দি সিরিয়ালের জন্য প্রথমবার অডিশন দিই। আমার সঙ্গে স্পটবয়ের মতো ব্যবহার করে সেখানে হাসিঠাট্টা করছিলেন পরিচালক। শুধু তা-ই নয়, আমাকে পানিও সরবরাহ করতে বলা হয়েছিল সেখানে। প্রথমে ভেবেছিলাম, পানি দেওয়াটা হয়তো অডিশনের অঙ্গ। কিন্তু সবাই হাসিঠাট্টা করায় বুঝতে পারলাম যে, আমাকে নিয়ে মজা করা হচ্ছে। সে দিন খুব কষ্ট পেয়েছিলাম।’

শুধু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে নয় অভিনেতার প্রতিবেশীরাও তার গায়ের রং থেকে চেহারা নিয়ে ঠাট্টা করতেন। তবে সিদ্ধার্থের কথায়, ‘আমার বড় ভাই মনে সাহস জোগাতেন। বলতেন, “তোর মধ্যে এমন অনেক গুণই আছে, যেগুলোর জন্য আমরা গর্বিত।’”

কলেজে ভর্তি হয়েই সিদ্ধার্থের মনে অভিনয়ের ইচ্ছে জাগে। আর তখনই থিয়েটারে নাম লেখান সিদ্ধার্থ। বেশ কিছু মারাঠি নাটকেও অভিনয় করেছেন তিনি। তার বাবা একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা, বড় ভাই একজন চিকিৎসক ও বোন সমাজকর্মী।
এমজে