অভিনয় করে বাঁচার আনন্দ খুঁজতে চেয়েছিলাম : রজতাভ

অভিনয় করে বাঁচার আনন্দ খুঁজতে চেয়েছিলাম : রজতাভ

 

অভিনেতা রজতাভ দত্ত। তবে রনি নামেও তিনি পরিচিত। ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্র, টেলিভিশন নাটক ও থিয়েটারে জনপ্রিয় মুখ তিনি। এ পর্যন্ত দেড় শ’র বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। এর মধ্যে অনেক ব্যবসাসফল ও প্রশংসিত চলচ্চিত্র রয়েছে।

ব্যক্তিগত জীবনে মা, স্ত্রী আর কন্যা স্নাতাকে নিয়ে তার সংসার। ছোটবেলায় বাবা মারা যাওয়ায় অনেক বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে হয়েছে এই অভিনেতাকে। তবে অভিনয় থেকে শুরু করে সব কিছুতেই তার মায়ের অনেক অবদান রয়েছে। চলচ্চিত্র ও ব্যক্তিগত জীবনের নানা বিষয় নিয়ে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে কথা বলেছেন তিনি।

অভিনয়ে কে বেশি প্রেরণা জুগিয়েছেন এমন এক প্রশ্নের উত্তরে রজতাভ দত্ত বলেন, ‘১৯৯৩ সালে অ্যাকাউন্টেন্টের চাকরি ছেড়ে দিই। সংসার বলতে তখন আমি আর মা। বাবা মারা গিয়েছেন যখন ক্লাস নাইনে পড়ি। মা চাকরি করতেন না। তখন অনেকে বলছেন, সংসারের এই অবস্থা, এর মধ্যে অবিবেচকের মতো চাকরি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত! অন্য বাড়ি হলে বের করে দিত। কিন্তু যখন চাকরিটা ছেড়ে বাড়ি ফিরে মাকে জানালাম, তখন মা বলেছিলেন, ‘কিছু বলে গেলি না তো?’ তারপর দিন শেষে বাড়ি ফেরার পর মা শুধু জিজ্ঞাসা করত- ‘শো কেমন হলো’। ওই পরিস্থিতিতেও আমি যা করতে চেয়েছি, মা সেটার সম্মান জানিয়েছেন।’

টাইপকাস্ট চরিত্রে কাজ করা প্রসঙ্গে এ অভিনেতা বলেন, ‘কখনো খুব পরিকল্পনা করে এগুইনি। এক সময় জুনিয়র আর্টিস্ট হিসেবেও কাজ করেছি। অভিনয়টা সিনসিয়ারলি করে বাঁচার আনন্দ পেতে চেয়েছিলাম। ‘কেউ আমাকে দাম দিলো না’, ‘ওমুক চরিত্রটা করা হলো না’, এ ধরনের কোনো হ্যালুসিনেটিভ ফ্যান্টাসি আমার নেই। তবে কমেডিয়ান বা ভিলেন হিসেবে হয়তো বেশি ব্র্যান্ডেড। কিন্তু এত টেলিফিল্ম, সিরিয়াল, থিয়েটার, সিনেমা করেছি তার মধ্যে আমি ৩০ শতাংশ জায়গায় হলেও অন্য ধরনের চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছি। সেই চরিত্রগুলো হয়তো ততটা জনপ্রিয় হয়নি বলে আমার আলাদা করে ব্র্যান্ড তৈরি হয়নি। কিন্তু অভিনেতা হিসেবে কাজগুলো করে তৃপ্তি পেয়েছি। তাই সেই অর্থে আমার কোনো আক্ষেপ নেই।’

এমজে/