ফেরদৌসের ভারতে প্রচারণা নিয়ে বিতর্ক

ফেরদৌসের ভারতে প্রচারণা নিয়ে বিতর্ক

পশ্চিমবঙ্গের রায়গঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়ালার হয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর কারণে বাংলাদেশের চিত্রনায়ক ফেরদৌসকে নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। অন্য রাষ্ট্রের নাগরিক হয়ে কিভাবে তিনি প্রকাশ্যে ভারতের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুর লোকসভার প্রার্থী দিলীপ ঘোষসহ অনেকেই ফেরদৌসের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলেছেন।

এর আগে রবিবার রায়গঞ্জের হেমতাবাদের ৫টি গ্রামপঞ্চায়েতে শাসকদলের সমর্থনে টালিউড তারকা পায়েল ও অঙ্কুশকে নিয়ে রোড শো করেন ফেরদৌস। এ সময় তিনি রাজ্যে উন্নয়নের কথা বলে তৃণমূলের পক্ষে ভোট চান।

ফেরদৌসের এমন কর্মকাণ্ডে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, 'উনি এটা করতে পারেন না। আমাদের দেখতে হবে তিনি কোন ভিসা নিয়ে এদেশে এসেছেন।'

এসময় তিনি তৃণমূলের সমালোচনা করে বলেন, 'তৃণমূলের কাছে ভোটার নেই। তাই তারা রোহিঙ্গাদের আনছে। প্রচারের লোক না থাকায় বাংলাদেশ থেকে চিত্রনায়ক নিয়ে আসছে।'

ফেরদৌসের নির্বাচনী প্রচারণার বিরোধিতা করেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও। তিনি বলেন, 'কোনও বিদেশি আমাদের রাজনৈতিক বিষয়ে এভাবে প্রচার চালাতে পারেন না। এটা গর্হিত অন্যায়।’

রায়গঞ্জের বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী অভিযোগের সুরে বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গকে গ্রেটার বাংলাদেশ বানানোর টার্গেট নিয়েছেন। তাই আগেভাগেই ওদের দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন।'

বিজেপির রাজ্যনেতা শিশির বাজোরিয়া জানিয়েছেন, তারা এই প্রচারের ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন এবং নির্বাচন কমিশনে জানাচ্ছেন।

উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মিহির দাশগুপ্ত বলেন, 'ফেরদৌসের ভোট চাওয়া দেখে আমি অবাক হয়েছি। অন্যদেশের নাগরিক কখনও আমাদের দেশে ভোটের প্রচারে অংশ নিতে পারেন না।' তার ভাষায়, 'অন্য দেশের নায়ক তাদের দেশে এসে শুটিং করতে পারেন। কিন্তু অন্য কাজ করতে পারেন না।'

এ বিষয়ে অবশ্য তৃণমূলের হেমতাবাদ ব্লক সভাপতি প্রফুল্ল বর্মন ভিন্ন কথা বলেন। তিনি বলেন, 'হেমতাবাদের গ্রাম এলাকায় ফেরদৌসের জনপ্রিয়তা আছে। তাই দলীয় নির্দেশে হেমতাবাদে তারকাদের দিয়ে ভোট প্রচারের আয়োজন করা হয়েছে।' তার ভাষায়, 'বিরোধীরা হিংসায় তৃণমূলের নামে ভুল অভিযোগ এনেছে।'

জিএস/