জায়রা ওয়াসিমের সিদ্ধান্তে দ্বিখণ্ডিত বলিউড

জায়রা ওয়াসিমের সিদ্ধান্তে দ্বিখণ্ডিত বলিউড

বলিউড ক্যারিয়ার ইসলাম ধর্মের আদর্শের সঙ্গে সংঘাত পূর্ণ হওয়ায় অভিনয় ছেড়ে দিয়েছেন 'দাঙ্গাল' খ্যাত অভিনেত্রী জায়রা ওয়াসিম। তার এই সিদ্ধান্তে শোরগোল পড়ে গেছে ভারতে, আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় বইছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এমনকি জায়রার সিদ্ধান্তে দ্বিখণ্ডিত বলিউডের কেউ কেউ তাকে শুভেচ্ছা জানালেও, কেউ কেউ অকৃতজ্ঞ বলে সমালোচনা করছেন। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

জায়রার এমন ‘বার্তা’য় অনেকেই অখুশি। সাধারণ নেটিজেনদের পাশাপাশি সরব সেলিব্রিটিরাও। যেমন অভিনেত্রী রাবিনা ট্যান্ডন। তিনি তো সরাসরি ‘অকৃতজ্ঞ’ই বলেছেন জায়রাকে। রবিনার কথায়,‘‘মাত্র দু’টি ছবি-খ্যাত জায়রা ইন্ডাস্ট্রির প্রতি অকৃতজ্ঞ হলে, ইন্ডাস্ট্রির কিচ্ছু আসে যায় না। তবে জায়রার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন অনুপম খের, জাভেদ আখতার, স্বরা ভাস্কর-সহ আরও অনেকে। একইভাবে, কাশ্মীরের রাজনীতিক ওমর আবদুল্লার বক্তব্য, ‘অবসরের সিদ্ধান্ত জায়রার ব্যক্তিগত। তার ভবিষ্যতের জন্য শুভেচ্ছা।’ নেটিজেনদের একাংশ মনে করছেন, মানসিক শান্তি বিঘ্নিত হলে কেউ সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতেই পারেন। তা নিয়ে অযথা জলঘোলা করা অর্থহীন।

যদিও জায়রার এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করে অনেকেই তাকে মনে করিয়ে দিয়েছেন, শাহরুখ-সালমান-আমির তিন জনই মুসলিম। নায়িকাদের মধ্যেও অনেকেই ইসলাম ধর্মাবলম্বীর। ওই আলোচনায় উঠে এসেছে ওয়াহিদা রহমান, মীনা কুমারী, মধুবালা, নার্গিস, শাবানা আজমি, পরভিন ববি, জিনাত আমানসহ আরও অনেকের নাম।

উল্লেখ্য, গত রবিবার বলিউডকে বিদায় জানিয়ে এক ইনস্টাগ্রাম পোস্ট দেন জায়রা ওয়াসিম। তিনি লেখেন, সিনেমা আমার ধর্ম ও বিশ্বাসের মাঝখানে আসছে। আমি এই পেশায় টিকে গেছি কিন্তু আমি এখানকার জন্য নই। ক্রমাগত এই কাজ আমাকে আমার ধর্মবিশ্বাস থেকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে। এত ছোটজীবনে এই বিশাল লড়াই আমি লড়তে পারব না। সুতরাং, সিদ্ধান্ত নিলাম। আমি অন্য মানুষ তৈরি হওয়ার চেষ্টা করছিলাম যা আমি নই।

জায়রা তার ঐ বিদায় বার্তায় আরও উল্লেখ করেন, আমি ধর্মবিশ্বাসে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। যদিও এখান থেকে অনেক ভালবাসা, সম্মান আমি পেয়েছি। তিনি নিজের উপর থেকে সমস্ত আর্শীবাদ হারিয়ে ফেলছিলেন। এই কাজের আবহাওয়া আল্লার সঙ্গে তার সম্পর্ক আঘাতের মুখে পড়ছিল। তার কথায়, কোরআনের বিশাল জ্ঞান থেকে আমি শান্তি খুঁজে পেয়েছি। উপরওয়ালার জ্ঞান, করুণাতেই শান্তির পথ।

এমজে/