বন্যার্তদের সহায়তায় সমগীতের মেঘ বাদলের গান

বন্যার্তদের সহায়তায় সমগীতের মেঘ বাদলের গান

দেশের বানভাসি মানুষের এই মুহূর্তে প্রয়োজন ব্যাপক সহযোগিতা। আর রাজধানীতে বসবাসরত যারা সুহৃদ, তাদের প্রয়োজন যান্ত্রিক জীবনে কিছুটা আনন্দ। বিনিময়ে এসব সুহৃদরা দান করবেন অর্থ। আর সেই অর্থ দিয়ে সহায়তা পাবে দেশের বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষেরা। এ অভিপ্রায়ে অনুষ্ঠিত হলো সঙ্গীতানুষ্ঠান 'মেঘ বাদলের গান'।

শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ঠিক এমন আয়োজনে মুখরিত ছিল রাজধানীর পরিবাগ সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রের প্রাঙ্গণ। সমগীত সাংস্কৃতিক প্রাঙ্গণের আয়োজিত ‘মেঘ-বাদলের গান’-এ তহবিল সংগ্রহ করা হয় বন্যার্তদের সাহায্যার্থে।

আয়োজকদের মতে, মূলত আষাঢ়ের গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির ছন্দ আর বর্ষার প্রকৃতির রূপ বন্দনা করেই এ আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দেশের বর্তমান বন্যাকবলিত অঞ্চলের দুর্দশার কথা ভেবে তাদের সাহায্যার্থে তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠনটি। তারা বলছে, বৃষ্টি থাকুক, কিন্তু বন্যা না থাকুক।

সন্ধ্যা থেকে রাত অবধি মেঘ বাদলের গানের আয়োজনে গানের দল সমগীত ছাড়াও শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছে মিরপুরে অবস্থিত কর্মজীবী শিশুদের স্কুল 'আমাদের পাঠশালা'র শিক্ষার্থীদের গান ও আহমেদ ব্রাদার্সের যন্ত্র সংগীত পরিবেশনাসহ শিল্পী কফিল আহমেদ, সায়ান, মাহা মীর্জা এবং ব্যান্ড লীলা ও ভাটিয়াল শহুরে।

সমগীত ঢাকা শাখার সভাপতি বিথী ঘোষ বলেন, অনুষ্ঠানটি আমরা প্রায় এক মাস আগেই ঘোষণা দিয়েছিলাম। মূলত বর্ষা ও প্রকৃতি বন্দনা করে এ আয়োজনের ‍উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে আমরা দেখতে পাচ্ছি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যায় আক্রান্ত মানুষের খুবই করুণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। যে পরিমাণ সাহায্য সহযোগিতা এই মুহূর্তে দরকার তা পৌঁছাচ্ছে না তাদের কাছে। ফলে এই অমানবিক পরিস্থিতিতে আমরা নিজেদের জায়গা থেকে পাশে দাঁড়ানোর দায় অনুভব করছি। সেখান থেকেই মেঘ বাদলের গানের আয়োজন থেকে তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত নেই।

তিনি আরও বলেন, এ অনুষ্ঠানে আমাদের অনেক বন্ধুরা এসেছে। তাদের কাছ থেকে যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী সহযোগিতা আমরা সংগ্রহ করেছি বন্যার্তদের সাহায্যের জন্য। এছাড়াও ২৭ জুলাই টিএসসির স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ‘কনসার্ট ফর কুড়িগ্রাম’-এ গাইবে সমগীত।

এমজে/