সন্ধ্যায় বনানীতে আবদুল কাদেরের দাফন

সন্ধ্যায় বনানীতে আবদুল কাদেরের দাফন

ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে না শনিবার ইন্তেকাল করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা আবদুল কাদের। সকাল ৮টা ২০ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। বাদ জোহর মিরপুর ডিওএইচে সেন্ট্রাল মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বিকেল সাড়ে ৩টায় আবদুল কাদেরকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় শিল্পকলা অ্যাকাডেমি প্রাঙ্গণে নেয়া হবে। সেখানে শ্রদ্ধা জানানো শেষে বাদ মাগরিব রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

কাদেরের পুত্রবধূ জাহিদা ইসলাম জেমি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে অভিনেতা আব্দুল কাদেরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্যানক্রিয়াসের ক্যানসারে ভুগছিলেন আবদুল কাদের। উন্নত চিকিৎসার জন্য ৮ ডিসেম্বর চেন্নাইতে নেয়া হয় আবদুল কাদেরকে। সেখানকার হাসপাতালে পরীক্ষার পর ১৫ ডিসেম্বর তার ক্যান্সার ধরা পড়ে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, তার অবস্থা সঙ্কটাপন্ন, ক্যান্সার সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে। শারীরিক দুর্বলতার কারণে তাকে কেমোথেরাপি দেয়া হয়নি।

তার শারীরিক অবস্থা কিছুটা ভালো হলে ২০ ডিসেম্বর দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। দেশে ফেরার পর আবদুল কাদেরের করোনা পরীক্ষা করা হলে পজেটিভ আসে। তখন তাকে করোনা ইউনিটে রাখা হয়। এরপর এই অভিনেতার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে করোনা ইউনিট থেকে তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করেন চিকিৎসকরা। এরপর না ফেরার দেশে চলে যান অভিনেতা আবদুল কাদের।

আবদুল কাদের জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির নিয়মিত শিল্পী ছিলেন। ছোটপর্দা, বিজ্ঞাপন এবং বড়পর্দা- তিন মাধ্যমেই সমান জনপ্রিয় তিনি। টেলিভিশনে দুই হাজারের বেশি নাটকে অভিনয় করেছেন কাদের। মঞ্চে ৩০টি প্রযোজনার এক হাজারের বেশি প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন জনপ্রিয় এ অভিনেতা। এছাড়া সিনেমা এবং বেশকিছু বিজ্ঞাপনেও দেখা গেছে তাকে।

তার উল্লেখযোগ্য নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘কোথাও কেউ নেই’, ‘মাটির কোলে’, ‘নক্ষত্রের রাত’, ‘শীর্ষবিন্দু’, ‘সবুজ সাথী’, ‘তিন টেক্কা’, ‘যুবরাজ’, ‘আগুন লাগা সন্ধ্যা’, ‘প্যাকেজ সংবাদ’, ‘সবুজ ছায়া’, ‘কুসুম কুসুম ভালোবাসা’, ‘নীতু তোমাকে ভালোবাসি’, ‘আমাদের ছোট নদী’, ‘দুলাভাই’, ‘অজ্ঞান পার্টি’, ‘মোবারকের ঈদ’, ‘বহুরূপী’, ‘এই মেকআপ’, ‘ঢুলি বাড়ি’, ‘সাত গোয়েন্দা’, ‘এক জনমে’, ‘জল পড়ে পাতা নড়ে’, ‘খান বাহাদুরের তিন ছেলে’।

এমজে/