শ্রোতাদের হৃদয়ে ব্যান্ডদল ‘মৌনিশ’

শ্রোতাদের হৃদয়ে ব্যান্ডদল ‘মৌনিশ’

ঢাকা, ২৩ মার্চ (জাস্ট নিউজ) : গানের মাধ্যমে শ্রোতাদের হৃদয়ে নতুন এক ধারা সৃষ্টি করতে চায় ব্যান্ডদল ‘মৌনিশ’। ‘পাশ্চাত্যের যন্ত্রের থাকবে নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার, যেটা গানকে শুধুমাত্র অলংকৃত করবে। অবহেলিত নয়|’ এ লক্ষ্যকে ধারণ করে দলের সদস্যরা এগিয়ে চলেছে প্রতিনিয়ত।

মূলত মৌনিশ- ৪ সদস্যের একটি সফ্ট মেলোডি ধাঁচের ব্যান্ডদল। যাদের যাত্রা শুরু ২০১৭ এর এপ্রিলে। দলটির লক্ষ্য শ্রোতাদের সুরের মূর্ছনায় বাংলা গান শোনানো। গতানুগতিক ধারা থেকে ভিন্নতার মাধ্যমে গান ও সুরকে মানুষের মনের খোরাকেও সৃষ্টি করতে চায় নতুন ধারায়। কাজের মাধ্যমে নিজেদের সৃষ্টিকে সাধারণ মানুষের মনে বাঁচিয়ে রাখাই তাদের মূল লক্ষ্য|

দলের প্রত্যেক সদস্যের একটাই পেষন আর তা হলো- পেশা হিসেবে নয় বরং গানের নেশাটাকে শখ হিসেবেই আজীবন ধারণ করতে চাই আমরা। ‘মৌনিশ’ ব্যান্ড এর সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন সৌরভ (ভোকাল এন্ড গিটারিস্ট), রিয়াদ (ড্রামস এন্ড ভোকাল), সুপ্রিয় (গিটারিস্ট) এবং সজীব (বেসিস্ট)|

পেশাগত দিক থেকে তারা প্রত্যেকেই চাকুরী ও ব্যবসায় নিজ নিজ স্থানে প্রতিষ্ঠিত| সম্প্রতি যাত্রা শুরু করলেও তাদের গান এর পথচলা প্রায় এক দশকের ও বেশি সময় জুড়ে|

তাদের মতে, অনেক গুরুজনরাই বলে থাকেন, পাশ্চাত্য বাদ্যযন্ত্রের প্রভাবে গান এর মাঝে আগের মত ভালো লাগাটা আর নেই। গান হয়ে গেছে যন্ত্র নির্ভর| এ অভিযোগে আমরা তরুণ প্রজন্ম অনেক আগে থেকেই ভুগছি| তাই মৌনিশ কথা এবং সুরকেই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়ে মৌলিক বাংলা গান সৃষ্টির চেষ্টা করছে। যেন পুরোনো ভালো লাগা গুলো আবার জেগে উঠে| আর বেঁচে থাকে বাংলা ব্যান্ডের মৌলিক গানের চাহিদা| এক্ষেত্রে পাশ্চাত্যের যন্ত্রের থাকবে নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার যেটা গানকে শুধুমাত্র অলংকৃত করবে অবহেলিত নয়|

নিজস্ব ভিন্নতার কারণে ইতোমধ্যেই মৌনিশ নিজেদেরকে একটি ধারায় নিতে সক্ষম হয়েছে বলে মনে করেন দলের সদস্যরা। এরই ফলশ্রুতিতে টেলিভিশন ও রেডিওতে গান পরিবেশনের সুযোগ হয়েছে। ইতোমধ্যে একাত্তর টেলিভিশন, মাছরাঙ্গা টেলিভিশন, রেডিও ধোনি, কালারস এফএম ইত্যাদি গণমাধ্যমে অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করা হয়েছে। এ ছাড়াও মঞ্চ ও কর্পোরেট প্রোগ্রামের ব্যাস্ততাও বাড়ছে।

এক্ষেত্রে নিজেদের গানের পাশাপাশি মৌনিশ চিরসবুজ বাংলা এবং ইংরেজি গান দিয়ে নিজেদের মঞ্চ পরিবেশনা সাজিয়ে থাকে| পরিবেশনার সৌন্দর্য ও শব্দ নিয়ন্ত্রণকে মাথায় রেখে মৌনিশ ব্যবহার করে থাকে তাদের নিজস্ব শব্দ ও সুর। যা তাদের পরিবেশনাকে করে তোলে আরো আকর্ষণীয়|

মৌনিশ নিজেদের সৃষ্টির জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে বেশ সাড়া পেয়েছে এবং পেয়েছে ব্যাপক উৎসাহ| যেকোনো প্রয়োজন- এ যোগাযোগের জন্য ফেইসবুক এবং youtube এ যথাক্রমে রয়েছে মৌনিশ’র পেজ ও চ্যানেল যা ‘MOUNISH’ নামেই পরিচালিত।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১৫২৪ঘ.)