জায়েদ-নিপুণকে আদালতের কঠোর নির্দেশ

জায়েদ-নিপুণকে আদালতের কঠোর নির্দেশ

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে স্থিতাবস্থার আদেশ কঠোরভাবে পালন করতে জায়েদ খান ও নিপুণ আক্তারকে নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

সোমবার (১৪ মার্চ) নিপুণের বিরুদ্ধে আনা আদালত অবমাননার অভিযোগ শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।

তবে, জায়েদ খানের আইনজীবীর দাবি ওই পদে বসবেন জায়েদ আর ভিন্নমত নিপুণের আইনজীবীর।

এর আগে গত ৮ মার্চ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসার অভিযোগে নিপুণের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেন জায়েদ খান। ওই মামলার শুনানির জন্য ১৩ মার্চ দিন ধার্য করে আদালত। তারই ধারাবাহিকতায় সেটি আজ আপিল বিভাগে শুনানির জন্য আসে।

এদিকে, শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে আবারও বেড়েছে অপেক্ষা। ২ মার্চ জায়েদ খানের পক্ষে রায় দিয়েছিল হাইকোর্ট। এরপর শপথ নিয়ে চেয়ারে বসেছিলেন জায়েদ খান। পরে জায়েদ খানকে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত।

গত রোববার (৬ মার্চ) শুনানি শেষে এ আদেশ দেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের একক বেঞ্চ। আগামী চার সপ্তাহ এ পদে স্থিতাবস্থা থাকবে বলেও জানান আদালত। সুপ্রিম কোর্টের এ আদেশে সন্তোষ প্রকাশ করেন চিত্রনায়িকা নিপুণ।

গত ২ মার্চ বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ জায়েদ খানের পক্ষে রায় দিয়েছিলেন। রায়ে জায়েদ সন্তোষ প্রকাশ করলেও হতাশ হয়েছিলেন নিপুণ। সেদিনই আপিল করেন তিনি।

আদালতের রায় পেয়ে প্রায় ২৪ দিন পর এফডিসি যান জায়েদ খান। সংবাদ সম্মেলনে শেষে বসেন সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে। এরপর ৪ মার্চ শপথ নেন জায়েদ খান। কিন্তু তার পরদিনই তাকে ‘বয়কট’ করে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৮ সংগঠন।

গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচন। ১৭৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন জায়েদ খান। ভোটারদের রায় মেনে নেননি নিপুণ। আপিল করেন আপিল বোর্ডে। পাশাপাশি জায়েদ খানের নামে বিভিন্ন অভিযোগ করেন। তার মধ্যে অন্যতম, নোট দিয়ে ভোট কিনেছেন জায়েদ খান।