এবিএম মূসা-সেতারা মূসা আজীবন সম্মাননা পেলেন মতিউর রহমান চৌধুরী

এবিএম মূসা-সেতারা মূসা আজীবন সম্মাননা পেলেন মতিউর রহমান চৌধুরী

সাংবাদিকতায় অসামান্য অবদানের জন্য এবিএম মূসা-সেতারা মূসা আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন মানবজমিন প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী। শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে তার হাতে এই সম্মাননা তুলে দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তৃতা করেন বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক আবুল মোনেম। আজকের পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক গোলাম রহমানের সভাপতিত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌসের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম তুলে ধরেন প্রফেসর শারমিন মূসা।

অনুষ্ঠানে সমকালের সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন, সিনিয়র সাংবাদিক ও গবেষক অজয় দাস গুপ্ত, নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

সম্মাননা প্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, এ সম্মাননা দায়িত্ব আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, এবিএম মূসা আজীবন সত্য ও ন্যায়ের কথা বলে গেছেন। তার নীতি এবং আদর্শ আজও গণমাধ্যমের জন্য অনুসরণীয়।

অনুষ্ঠানে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন মানবজমিন সম্পাদক, জনপ্রিয় সংবাদ উপস্থাপিকা মাহবুবা চৌধুরী।

অজয় দাস গুপ্ত তার বক্তৃতায় বলেন, বাংলাদেশের সাংবাদিকতার ইতিহাসে মতিউর রহমান চৌধুরী একটি অধ্যায়। এবিএম মূসা- সেতারা মূসা ফাউন্ডেশন এবার একজন যোগ্য মানুষকে সম্মানিত করেছে। তিনি বলেন, কাগজে রিপোর্টিংয়ে মতিউর রহমান চৌধুরী নতুন ধারা তৈরি করেছেন। তিনি এখনও একজন রিপোর্টার।

সমকাল সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন বলেন, মতিউর রহমান চৌধুরী বাংলাদেশে একটি ট্যাবলয়েড দৈনিক প্রকাশনায় সফল হয়েছেন। আকারে ট্যাবলয়েড হলেও চরিত্রে মানবজমিন একটি গুরুত্বপূর্ণ দৈনিক।

তিনি বলেন, বর্তমান বাস্তবতায় সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, সাহসী হতে হবে। পেশাদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর গোলাম রহমান বলেন, এবিএম মূসা নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান ছিলেন।

তিনি ছিলেন সাংবাদিকতার একজন শিক্ষক। অনুষ্ঠানে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন সিনিয়র সাংবাদিক শফিকুল করিম সাবু, কবি ও সাংবাদিক হাসান হাফিজ।