সৌদিতে ধরপাকড়: আজ ফিরেছেন ৭০ বাংলাদেশী

সৌদিতে ধরপাকড়: আজ ফিরেছেন ৭০ বাংলাদেশী

সৌদি আরবে চলমান ধরপাকড়ে বিপাকে পড়েছেন দেশটিতে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীরা। প্রতিটি মূহুর্ত আতঙ্কে কাটছে তাদের। আতঙ্কে থাকা বাংলাদেশিদের তালিকায় অনিয়মিতভাবে অবস্থানরতদের পাশাপাশি নিয়মিতরাও রয়েছেন। বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও অনেককে ধরে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে অনেকে খুবই স্বল্প সময়ের ব্যবধানে দেশটি থেকে ফিরতে বাধ্য হয়েছে।

বাংলাদেশি কর্মীদের ফেরত আসার ধারাবাহিকতায় গতরাতেও ৭০ জন ফিরেছেন। রাত ১১টা ২০ মিনিটে সৌদি এয়ারলাইন্স এসভি-৮০৪ ফ্লাইটে করে তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।

প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের তথ্যমতে, এ নিয়ে চলতি বছরের ৯ মাসে শুধুমাত্র সৌদি থেকে ফিরেছেন ১৬ হাজার ৩০ বাংলাদেশী। আর ট্রাভেল পাশ নিয়ে বিভিন্ন দেশ থেকে ফেরত আসা এই কর্মীর সংখ্যা ৩৬৭৫৩ জন।

বরাবরের মতো গতরাতে ফেরা কর্মীদেরও অভিযোগ একই। তারা বলছেন, সৌদি আরবে বৈধভাবে ছিলেন এবং আকামার মেয়াদ থাকা সত্ত্বেও দেশটির পুলিশ তাদের ধরে দেশে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহযোগিতায় ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের পক্ষ থেকে ফেরত আসা এসব কর্মীদের বিমানবন্দরে খাবার-পানিসহ নিরাপদে বাড়ি পৌঁছানোর জন্য জরুরি সহায়তা প্রদান করা হয়।

কর্মীরা বলেন, কর্মস্থলে যাওয়ার পথে, মসজিদে নামাজ পড়াতে যাওয়ার সময়, কর্মস্থলে কর্মরত থাকা অবস্থায়, বাজার করতে বের হলে পথ থেকে ধরে পাঠিয়ে দিচ্ছেন তারা। অভিযোগ করে বলেন, আকামা দেখানোর পরও কোন প্রকার প্রতিকার পাচ্ছেন না। নিয়োগকর্তা বা কফিল কোন দায়-দায়িত্ব নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন দেশে ফেরা এসব কর্মীরা।

ফিরে আসা কর্মীদের একজন কুমিল্লার আবুল হোসেন। বিমান বন্দরে নেমেই নানা অভিযোগ তুলে ধরেন তিনি। তার মতো একই অভিযোগ করেন, আলমগীর হোসেন, নওগাঁর রাইসুল ইসলাম, হবিগঞ্জের তরিত মিয়া, নাটোরের রিদয় হোসেন, নারায়ণগঞ্জের মো. জসীম, বি-বাড়িয়ার আজিজুর, জামালপুরের আবদুুল খালেক। তারা বলেন, আমাদের আকামরা মেয়াদ থাকা সত্ত্বেও মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে দেশে পাঠানো হয়েছে।

এমআই