প্রবাসীরা দেশে ফিরেই ‘নবাবজাদা’ হয়ে যান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রবাসীরা দেশে ফিরেই ‘নবাবজাদা’ হয়ে যান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রবাসীদের সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে আশকোনায় কোয়ারেনটাইনে থাকতে অনীহা জানানোয় তাদের কঠোর সমালোচনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘প্রবাসীরা দেশে এলেই নবাবজাদা হয়ে যান। তারা কোয়ারেনটাইনে যাওয়ার বিষয়ে খুব অসন্তুষ্ট হন। ফাইভ স্টার হোটেল না হলে তারা অপছন্দ করেন।’

রবিবার রাজধানীতে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে (বিআইআইএসএস) এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

নিজেদের দুর্বলতার কথা স্বীকার করে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমাদের তো দৈন্য আছে। এটা তো একটা বিশেষ অবস্থা। আমরা যাদের নিয়ে আসি, তাদের হজক্যাম্পে রাখি, এখন আরও কয়েকটা হাসপাতালও জোগাড় করেছি।’

গতকাল শনিবার ইতালিফেরত প্রবাসীদের হজ ক্যাম্পে কোয়ারেনটাইনে রাখা হলে তারা বিক্ষোভ করেন।

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গতকাল খুব অস্থিরতা করেছেন। তারা দেশে আসছেন, কোনো কোয়ারেনটাইনে যেতে চান না। সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে যাবেন, এই আগ্রহে আসছেন। আমরা যেখানে রেখেছিলাম, আগেও রেখেছিলাম, তারা সেটা পছন্দ করেননি। বাংলাদেশে ফ্ল্যাট বাথরুম, তারা কমোড বাথরুম ইউজ করেন, সুতরাং তাদের অসুবিধা হয়েছে।

‘আমরা সেখানে পর্যটন থেকে খাবার দিয়েছি, তারা মনে করেন সোনারগাঁও, ফাইভ স্টার থেকে খাওবার দেওয়া উচিত। সেটা দিতে পারিনি। সে জন্য তারা অসন্তুষ্ট হয়েছেন। তাদের বিভিন্ন রকম অভিযোগ ছিল। তারা মনে করেন এগুলো খুব নোংরা।’

এ কে মোমেন বলেন, `সরকারের মূল উদ্দেশ্য জনগণকে রক্ষা করা। কয়েকজনের কারণে সাড়ে ১৬ কোটি মানুষ অসুস্থ হোক সরকার তা চায় না। কারণ বিভিন্ন ধরনের দুর্বলতা আছে। সরকার আগে আবেদন করেছিল যাতে যারা প্রবাসে আছেন, তারা আরও কিছুদিন সেখানে থাকেন। কিন্তু তারা সেটা শোনেননি। সে জন্য বাধ্য হয়ে ফ্লাইট বন্ধ করা হয়েছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশি নাগরিককে ভারত তাদের দেশে যেতে দিচ্ছে না। বাংলাদেশও আজ থেকে ভারতের নাগরিকদের এ দেশে আসতে দেবে না।

স্কুল-কলেজ বন্ধের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা স্কুলে থাকলেই বরং ভালো। স্কুলে হাত ধুতে হয়, কীভাবে পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন থাকা যায়, করোনাভাইরাস প্রতিরোধের উপায় শিখছে। বাড়িতে গেলে তারা ঘুমাবে এবং খারাপ কাজ হবে।’

এ কে মোমেন বলেন, তবে এ বিষয়ে সরকার অত্যন্ত সতর্ক। প্রতিনিয়ত নজর রাখা হচ্ছে। যখন প্রয়োজন হবে এবং কোনো ‘ইন্ডিকেশন’ পাওয়া যাবে, তখন অবশ্যই স্কুল-কলেজ বন্ধ করা হবে।