শ্রমিক ফেরত না পাঠাতে আমিরাতকে ঢাকার অনুরোধ

শ্রমিক ফেরত না পাঠাতে আমিরাতকে ঢাকার অনুরোধ

করোনা মহামারির কারণে বাংলাদেশি শ্রমিকরা যেন চাকুরিচ্যূত হয়ে দেশে ফেরত না আসে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।

আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সাথে ফোনালাপকালে বুধবার তিনি এ অনুরোধ করেন।

আমিরাতের উন্নয়নে প্রবাসী বাংলাদেশিরা গুরত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, কেউ চাকুরিচ্যুত হলেও যেন কমপক্ষে ৬ মাসের সমপরিমাণ ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পায়। তিনি সেদেশে অবস্থানরত প্রবাসী শ্রমিকদের খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার জন্য ইউএইর পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন। জবাবে এ সব বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে মন্ত্রী নাহিয়ান আশ্বস্ত করেন।

ড. মোমেন উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে কোয়ারেন্টিনের সুবিধা নিশ্চিত করতে কোন বাংলাদেশি শ্রমিক সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে যদি ফেরত আসতে চায় তবে তারা যেন করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেটসহ ধাপে ধাপে আসতে পারে।

ড. মোমেন বাংলাদেশ থেকে সবজি এবং হালাল চিকেন ও গরুর মাংস আমদানি করতে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে অনুরোধ করেন। তাছাড়া সেদেশে কৃষির উন্নয়নে বাংলাদেশের কৃষি শ্রমিকদের কাজে লাগাতে পারবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

সংযুক্ত আরব আমিরাতকে বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্র উল্লেখ করে ড. মোমেন সেদেশের উন্নয়নে আব্দুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের বাবার দুরদর্শী নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।

করোনা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দেশে শ্রমিকদের সহায়তার জন্য কোভিড-১৯ রিকোভারি অ্যান্ড রেসপন্স ফান্ড গঠনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সহযোগিতা কামনা করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময়ে উভয়ে বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের পারস্পারিক অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে উল্লেখ করেন।

এসময় মন্ত্রী নাহিয়ান ওআইসির সভাপতি হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা, জনবল, আর্থিক কাঠামোসহ বিভিন্ন খাতে সংস্কার প্রশ্নে বাংলাদেশের একান্ত সমর্থন কামনা করেন। এ সময় করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশে মাস্ক, স্যানিটাইজারসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সামগ্রী প্রেরণের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ধন্যবাদ জানান ড. মোমেন।