আমিরাতে দালালের হাত থেকে ৩ বাংলাদেশি নারীকে উদ্ধার

আমিরাতে দালালের হাত থেকে ৩ বাংলাদেশি নারীকে উদ্ধার

সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুজাইরা শহরে দালাল চক্রের হাত থেকে তিন বাংলাদেশি নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে। গোপনে ফোন পেয়ে দুবাই কনস্যুলেটের নেতৃত্বে ময়না বেগম, আলিয়া আকতার ও মনি আকতার নামে ওই তিন বাংলাদেশিকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় বাংলাদেশ সমিতি ফুজিরা ও চট্টগ্রাম প্রবাসী কল্যাণ পরিষদের নেতৃবৃন্দরা উদ্বার কাজে অংশগ্রহণ করেন।

উদ্ধারকৃত নারীরা জানান, বাংলাদেশ থেকে তিন মাসের ড্যান্সের ভিসা নিয়ে তারা আজিম নামের এক দালালের মাধ্যমে আমিরাতে আসেন। আজিম প্রতি মাসে তাদেরকে বাংলাদেশি ৫০ হাজার টাকা বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে অগ্রিম ৪০ হাজার টাকা দিয়ে তাদেরকে নিয়ে আসেন। কিন্তু আমিরাতে আনার পর কথামতো কাজ না দিয়ে তাদেরকে অনৈতিক কাজে বাধ্য করেন এবং মারধর করেন।

তারা আরো জানান, আজিমসহ নাজিম ও আলমগীর নামের এই তিন দালাল অনৈতিক কাজ করতে না পারলে তাদেকে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেন। তাই তারা বাধ্য হয়ে দুবাই কনস্যুলেটে গোপনে ফোন করে তাদের উদ্ধার করতে অনুরোধ করেন এবং কনস্যুলেট তাদের উদ্ধার করেন।

তিন মাসের কথা বলে আমিরাতে নিয়ে আসলেও সাত মাস হয়ে যাওয়ার পরও দালাল চক্রটি তাদেরকে দেশে যেতে দিচ্ছে না বলেও জানান উদ্ধারকৃত নারীরা। তারা বলেন, ‘মিথ্যা কথা বলে প্রলোভন দেখিয়ে প্রতি মাসে শত শত মেয়েদের নিয়ে এসে তাদের জীবন ধ্বংস করে দিচ্ছে এ চক্রটি। তাই কোনো মেয়েকে এ ধরনের ভিসা নিয়ে আমিরাতে না আসার অনুরোধ করেন ভুক্তভোগী নারীরা। পাশাপাশি তাদেরকে দ্রুত দেশে পাঠাতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।

উদ্ধার কাজে অংশ নেন চট্রগ্রাম প্রবাসী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি বাবু তপন সরকার, বাংলাদেশ সমিতি ফুজাইরার সহ-সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল হক মাহাবুব, বিদিয়া ফুজিরা বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ জাহেদ হাসান, চট্টগ্রাম প্রবাসী কল্যাণ পরিষদের সহ-সভাপতি বখতিয়ার ইসলাম চৌধুরী, বাংলাদেশ সমিতির সদস্য মো. লুৎফুর রহমান।

উদ্ধারকাজে অংশগ্রহণকারীরা জানান, উদ্ধার কাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দুবাই কনস্যুলেটে নিযুক্ত কনসাল জেনারেল ইকবাল হোসাইন খান বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত দিয়ে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেন।

এ ব্যাপারে কনসাল জেনারেল ইকবাল হোসেন খান বলেন, দালালদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে এবং তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।