আউশ চাষে সাড়ে ৪ লাখ কৃষক ৪০ কোটি টাকার প্রণোদনা পাচ্ছেন

আউশ চাষে সাড়ে ৪ লাখ কৃষক ৪০ কোটি টাকার প্রণোদনা পাচ্ছেন

চলতি বছর উফশী আউশ চাষে ৪ লাখ ৫৯ হাজার চাষিকে ৪০ কোটি ১৮ লাখ ২০ হাজার ৭শ ৫০ টাকার প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। কৃষি মন্ত্রণালয় সব জেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে বীজ, সার, পরিবহন ব্যয় ও আনুষঙ্গিক সহায়তার কার্যক্রমও নিয়েছে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক খরিফ-১/২০১৯-২০২০ মৌসুমের কৃষি প্রণোদনা প্রদান কার্যক্রম উপলক্ষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে প্রণোদনা দেওয়ার কথা জানান।

দেশের সব মানুষের জন্য পুষ্টিসমৃদ্ধ সুষম খাদ্য নিশ্চিত করতে হলে শস্য বহুমুখীকরণ, উন্নত ও আধুনিক কলাকৌশল অবলম্বন, বিভিন্ন ফসলের উচ্চ ফলনশীল ও হাইব্রিড জাত প্রতিস্থাপন জরুরি। এ বিষয়কে গতিশীল করতেই এ উদ্যোগ।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান খরিফ-১ মৌসুমে উফশী আউশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৬৪টি জেলায় ৪ লাখ ৫৯ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে ৪০ কোটি ১৮ লাখ ২০ হাজার ৭শ ৫০ টাকার বীজ ডিএপি, এমওপি সার, পরিবহন ও আনুষঙ্গিক ব্যয় বরাদ্দ করা হচ্ছে। সর্বোচ্চ ১ বিঘা জমির জন্য রয়েছে মোট ৮৭৫ টাকার প্রণোদনা।

জানা গেছে, কর্মসূচিতে মোট ৪ লাখ ৫৯ হাজার ২২৬ বিঘা জমিতে উফশী আউশ চাষ করা সম্ভব হবে। এতে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪৫২ টন চাল উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে, যার বাজারদর ৫৭৮ কোটি ৮৭ লাখ ৫৪০ টাকা। এ থেকে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৪৩ টন খড় পাওয়া যাবে, যার বাজারদর ২৪ কোটি ৬৬ লাখ ৪৩ হাজার ৪৬ টাকা। চাল ও খড় উৎপাদন বাবদ আয় হবে ৬০৩ কোটি ৫৪ লাখ ৯৪৫ টাকা। উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে নিট আয় হবে ৯৮ কোটি ৩৯ লাখ ১৪ হাজার ৯৪৫ টাকা। এ ক্ষেত্রে প্রতি ১ টাকা খরচ করে আয় হবে ১.২ টাকা। অর্থাৎ ব্যয় অনুপাত আয় ১ : ১.২।

এমজে/