কৃষকদের পরিবর্তে সরকার বড় চোরদের রক্ষায় ব্যস্ত: ভিপি নুর

কৃষকদের পরিবর্তে সরকার বড় চোরদের রক্ষায় ব্যস্ত: ভিপি নুর

কৃষকদের ধানের ন্যায্য মূল্য দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। এ সময় কৃষকদের ধানের ন্যায্য মূল্য দেওয়ার জন্য দ্রুত কমিটি করার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর।

বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি একথা বলেন। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে ধানসহ সব কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ, কৃষি খাতে পর্যাপ্ত ভর্তুকি এবং এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমিয়ে নিয়ে আসার দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন হয়।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, সরকার কৃষকদের পরিবর্তে বড় বড় চোরদের রক্ষায় ব্যস্ত রয়েছে। কৃষকদের রক্ষায় ছাত্রসমাজ সোচ্চার হবে বলেও তিনি জানান।

এর আগে সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে মানববন্ধনের আয়োজন হয়। সেখানে বুধবার দেশব্যাপী এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে আয়োজনের পাশাপাশি দেশের সব কমিটি পৃথকভাবে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বলে জানায় তারা।

নুরুল হক নুর বলেন, ‘যাদের উৎপাদিত পণ্য খেয়ে বেঁচে আছি, তাদের সঠিক মূল্য আমরা দিতে পারছি না। মন্ত্রীরা বক্তব্য দিচ্ছেন, ধান বেশি হওয়ায় দাম কমে যাচ্ছে। অথচ চালের দাম ঠিকই বেশি। এটি কারণ নয়, সিন্ডিকেটের কারণে দাম কমে যাচ্ছে। চালকল মালিকরা পরিকল্পিতভাবে মূল্য কমিয়ে দিয়েছেন। সরকারের এ ক্ষেত্রে কোনো নজরদারি নেই।’

তিনি বলেন, ‘যে সরকার যখনই ক্ষমতায় থাকে, তাদের অধিকার রক্ষায় সরকার ব্যস্ত থাকে। কৃষকদের রক্ষায় কোনো পদক্ষেপ নেয় না। নিলে ছাত্রসমাজকে এভাবে মাঠে নামতে হতো না।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা কৃষকসহ সব শ্রমিক, মেহনতি মানুষের পাশে আছি। প্রয়োজনে তাদের অধিকার রক্ষায় পাশে থাকব। এ জন্য প্রয়োজনে লংমার্চ করা হবে। আগেই এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।’

মানববন্ধনে ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন বলেন, ‘আমি ছাত্র, আমি কৃষক পরিবারের সন্তান। এক মণ ধানের দাম ৪৫০-৫০০ টাকা। এই ধান থেকে চাল হয় ১২০০ টাকার। ৭০০ টাকা তারা খেয়ে ফেলছে। সিন্ডিকেট এই টাকা মেরে দিচ্ছে। অথচ বীজ উৎপাদন থেকে শুরু করে ধান উৎপাদন পর্যন্ত কৃষকদের কী পরিমাণ কষ্ট করতে হয় তা আমরা জানি। এর ন্যায্য মূল্য না পাওয়ার দায় রাষ্ট্রের।’

মানববন্ধনে ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, ‘সরকারের নিকট আমাদের কিছু দাবি রয়েছে। খরচ অনুযায়ী কৃষকের ধানের ন্যায্য মজুরি দিতে হবে। অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সরাসরি ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কৃষিতে ভর্তুকি দিয়ে কমমূল্যে বীজ, সার, কীটনাশক ও সেচের ব্যবস্থা করতে হবে।’

এতে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এর যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খাঁন,ফারুক হোসেনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

এমআই