রংপুরে ১৭৫ হেক্টর জমির বাদাম ক্ষেত পানির নিচে

রংপুরে ১৭৫ হেক্টর জমির বাদাম ক্ষেত পানির নিচে

উজান নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ও বৃষ্টিতে হঠাৎ করে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ১১টি চরাঞ্চলের বাদাম ক্ষেতসহ উঠতি ফসলের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে অনেক বাদাম। বর্তমানে তিস্তা ব্রিজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার ২৮.০৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ও কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গত সোমবার দুপুরে পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলার নদী তীরবর্তী গদাই, পাঞ্জর ভাঙ্গা, ঢুষমারা, গোপীডাঙ্গা, প্রাণনাথ চর, তালুকশাহাবাজ, গনাই, চর গনাই, হরিচরণ শর্মা, বিশ্বনাথ, হয়বত খাঁ চর গ্রামের নিন্ম অঞ্চলে পানি বৃদ্ধি পেয়ে উঠতি ফসল বাদাম, কাউন ও ভুট্টা ক্ষেত পানিতে তলিয়ে যায়। বেশ কিছু জমির উঠানো বাদাম পানির স্রোতে ভেসে গেছে।

কৃষি বিভাগ জানায়, হঠাৎ বন্যায় অন্যান্য ফসলের ক্ষতি কম হলেও ১৬২ হেক্টর বাদাম ক্ষেত তলিয়ে গেছে।

পাঞ্জরভাঙ্গা গ্রামের কৃষক আনারুল জানান, তার ৫ একর, লাভলু হোসেনের পাঁচ একর, আমির হোসেনের দুই একর, গদাই গ্রামের কৃষক আলামিনের পাঁচ একর, হানিফ উদ্দিনের এক একর, ঢুসমারা গ্রামের আছিম উদ্দিনের দুই একরসহ উপজেলার শতাধিক কৃষকের বাদাম ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল আলম জানান, বর্তমানে তিস্তা ব্রিজ পয়েন্ট তিস্তার পানি ২৮.০৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। উপজেলার তিস্তা নদী বেষ্টিত ১১টি চর গ্রামের বাদামসহ অন্যান্য ফসলের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। বেশ কিছু কৃষকের বাদাম ভেসে গেছে।

তিনি আরও জানান, ৫ দিন পর্যন্ত ক্ষেতে পানি থাকলেও বাদামের তেমন ক্ষতি হবে না। এর বেশি থাকলে তা নষ্ট হয়ে যাবে। বর্তমানে নদীতে যে পানি হয়েছে তা ৫দিনে নামার সম্ভাবনা কম। তবুও আমরা কৃষকের তালিকা প্রস্তত করছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. উলফৎ আরা বেগম জানান, ক্ষতি গ্রস্ত কৃষকের তালিকা তৈরি করার জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

এমজে/