যুবককে পিটিয়ে হত্যা করল পুলিশ!

যুবককে পিটিয়ে হত্যা করল পুলিশ!

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে মোবাইল চুরির অভিযোগে এজাহার মিয়া (২৭) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও আরেকজনকে আটক করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী ইউনিয়নের বালুর রাস্তা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার ও স্থানীয় এলাকবাসী পুলিশ কর্মকর্তাসহ হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করেছে।

গ্রেপ্তার এসআই ইকবাল পারভেজ রায়হান চট্টগ্রাম রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সে দায়িত্বরত। বিষয়টি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) নুরে আলম মিনা। আটক আরেকজন হলেন, অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার বড় বোনের জামাতা মিজান উদ্দিন (৫০)

নিহত এজাহার মিয়া ভাটিয়ারি ইউনিয়নের বালুর রাস্তা এলাকার মফিজুর রহমানের ছেলে। সীতাকুণ্ডের একটি শিপ ইয়ার্ডে দিনমজুরের কাজ করতেন তিনি।

নিহত এজাহার মিয়ার শাশুড়ি মরিয়ম বেগম জানান, মোবাইল চুরির মিথ্যা অভিযোগে সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় এসআই রায়হান মোবাইল ফোনে এজাহারকে ডেকে নেয়। এরপর তাকে নিয়ে নিজ বসতবাড়ি ভাটিয়ারী কলেজপাড়ায় নিয়ে যায় রায়হান। পরে এজাহারকে রায়হান, তার বোন, শ্যালক ও তার স্ত্রী মিলে হাত-পা রশি দিয়ে বেঁধে বেধড়ক পিটুনি দেয়।

মঙ্গলবার ভোররাত ৫টার দিকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে এজাহারকে মুমূর্ষু অবস্থায় ভাটিয়ারী-হাটহাজারী লিংক রোড়ে নিয়ে ব্রিজ এলাকায় একটি রিকশা করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। তার অবস্থার অবনতি দেখে স্ত্রী পপি ও শাশুড়ি তাকে স্থানীয় বিএসবি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তার মৃত্যু হয়।

সীতাকুণ্ড মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শামীম শেখ জানান, যুবকের লাশ ভাটিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কার্যালয়ের সামনে রেখে পরিবার ও এলাকাবাসী বিক্ষোভ করে। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্তের পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।