পুতিনের শপথ অনুষ্ঠান বয়কট পশ্চিমা নেতাদের

পুতিনের শপথ অনুষ্ঠান বয়কট পশ্চিমা নেতাদের

পঞ্চমবারের মতো নির্বাচিত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের শপথ অনুষ্ঠানে দূত পাঠাবে না যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশিরভাগ দেশ। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

মঙ্গলবার ক্রেমলিনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন তিনি।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, রাশিয়ার নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু বিবেচনা করেনি যুক্তরাষ্ট্র। তাই পুতিনের শপথ অনুষ্ঠানে কেউ যাচ্ছেন না।

যুক্তরাজ্য ও কানাডা জানিয়েছে, তারা অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য কাউকে পাঠাবে না। জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারাও এতে অংশ নেবে না।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক মুখপাত্র বলেছেন, ২০টি ইইউ সদস্য রাষ্ট্র এই অনুষ্ঠান বয়কট করবে। তবে ফ্রান্স, হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়াসহ ৭টি ইইউভুক্ত দেশ অনুষ্ঠানে অংশ নেবে।

এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, পুতিনকে রাশিয়ান ফেডারেশনের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত ও বৈধ প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কোনো আইনি ভিত্তি দেখছে না ইউক্রেন।

পুতিনের একজন সহযোগী বলেছেন, মস্কোর সব বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের প্রধানদের পুতিনের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার শুরু হচ্ছে শপথ অনুষ্ঠান। রাশিয়ান টেলিভিশনে তা সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। পুতিনের শাসনামলের ২৫ বছর পূর্ণ হওয়ার কয়েক মাস আগে শপথ অনুষ্ঠানটি হতে যাচ্ছে।

বিলাসবহুল মোটর শোভাযাত্রায় গ্র্যান্ড ক্রেমলিন প্রাসাদে আসবেন পুতিন। এরপর প্রাসাদের করিডর দিয়ে লাল গালিচা বিছানো পথ দিয়ে হেঁটে সেন্ট অ্যান্ড্রু হলে যাবেন তিনি। সেখানেই সংবিধানে হাত রেখে আরও ছয় বছর মেয়াদে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে অসাধারণ ক্ষমতার অধিকারী হওয়ার জন্য শপথ নেবেন পুতিন। এরপর সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেবেন তিনি। এ সময় রাশিয়ান অর্থোডক্স চার্চের ফাদারের কাছ থেকে আশীর্বাদও নেবেন তিনি।

গত মার্চে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৮৭.২৮ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন এই নেতা। অভিষেক অনুষ্ঠানের পর রাশিয়ার বর্তমান সরকার পদত্যাগ করবে এবং পার্লামেন্টের অনুমোদন সাপেক্ষে নতুন সরকারের দায়িত্ব নেবে। শপথের পর সরকার গঠনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে একজনকে বাছাই করে অনুমোদনের জন্য রাশিয়ার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ স্টেট ডুমায় উপস্থাপন করবেন পুতিন। ধারণা করা হচ্ছে, চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং পশ্চিমাদের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দেশটির ক্রমবর্ধমান অর্থনীতিকে কেন্দ্র করে একজন সফল সরকারপ্রধান হিসেবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্তিনকে আবারও নিয়োগ দেওয়া হতে পারে।