
ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে বৈঠক করেছেন পাকিস্তানের চিফ অফ আর্মি স্টাফ (সিওএএস) ফিল্ড মার্শাল সাইয়েদ অসিম মুনির। এ সময়ে সন্ত্রাসীবিরোধী বিভিন্ন পদক্ষেপ ও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক ডন এমন খবর দিয়েছে। এতে বলা হয়, গতকাল হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সাথে জেনারেল মুনিরের বৈঠক হয়েছে।
ক্ষমতাসীন কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে পাকিস্তানের কোনো চিফ অফ আর্মি স্টাফের এটিই ছিল প্রথম কোনো মুখোমুখি বৈঠক। এছাড়া সামরিক শাসন কিংবা রাজনৈতিক কোনো পদ না থাকলেও মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায় থেকে এর আগে কখনো এমন আমন্ত্রণ পায়নি কোনো পাকিস্তানি সেনাপ্রধান।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ওভাল অফিসে বৈঠক শেষে ক্যাবিনেট কক্ষে ট্রাম্পের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন অসিম মুনির।
বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি স্টিফ উইটকফও অংশ নেন। এ সময়ে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুহাম্মদ অসিম মালিকও উপস্থিত ছিলেন।
দেশটির আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে তাদের মধ্যে ঘণ্টাখানেক বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তা দুই ঘণ্টা স্থায়ী হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বৈঠকে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় পাকিস্তানের প্রশংসা করেন ট্রাম্প। পাশাপাশি, দুই দেশের সন্ত্রাসবিরোধী জোরালো অভিযানেরও প্রশংসা করেন তিনি।
এতে বলা হয়, সন্ত্রাসবিরোধী পদক্ষেপে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার কথা বলা হয়েছে দুই পক্ষ থেকে। এ সময়ে বাণিজ্য, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, খনি ও খনিজসম্পদ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), জ্বালানি, ক্রিপ্টোকারেন্সি ও নতুন নতুন প্রযুক্তির বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
পাকিস্তানের আইএসপিআর আরও জানিয়েছে, কৌশলগত দীর্ঘমেয়াদি সমন্বয়ের ভিত্তিতে পাকিস্তানের সাথে পারস্পরিক লাভজনক বাণিজ্য অংশীদারত্বে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
‘আঞ্চলিক জটিল সময়ে আসিফ মুনিরের নেতৃত্ব ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতারও প্রশংসা করেছেন তিনি। পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে পাকিস্তান সফরে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন অসিম মুনির।’
পরবর্তীতে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আজ তার সঙ্গে বৈঠক করে আমি সম্মানিতবোধ করছি। তিনি আমার সঙ্গে একমত হয়েছেন, যে কারণে আজ আমাদের এই বৈঠক হয়েছে। ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে না জড়ানোয় আমি তাকে ধন্যবাদ দিতে চেয়েছিলাম।’
‘আমি অবশ্য ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও ধন্যবাদ দিতে চাই, যিনি কিছুদিন আগে এখানে এসেছিলেন,’ বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।