হোয়াইট হাউসের সামনে সেভ বাংলাদেশের মোমবাতি প্রজ্জ্বলন

যুক্তরাষ্ট্রেও অসহযোগ আন্দোলন অব্যাহত রাখার শপথ

যুক্তরাষ্ট্রেও অসহযোগ আন্দোলন অব্যাহত রাখার শপথ

বাংলাদেশে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের দাবিতে চলমান বিক্ষোভে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত প্রবাস থেকে অসহযোগ আন্দোলন চালিয়ে যাবার শপথ করেন তারা।

শনিবার সন্ধ্যায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সমর্থন জানাতে ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসের সামনে সমাবেশের আয়োজন করে অধিকার সংগঠন সেভ বাংলাদেশ। মোমবাতি প্রজ্জ্বলন এবং প্রতিবাদী গানের মধ্য দিয়ে রাত অবধি এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে হাসিনার সরকারকে অসহযোগিতা করার যে আন্দোলন বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ ঘোষণা করেছে তার সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শতাধিক বাংলাদেশি এসে যোগ দেন।

বিক্ষোভে অংশ নেয়া প্রবাসীদের অনেকের হাতে ছিলো সরকারের পদত্যাগের দাবিত সম্বলিত বিভিন্ন পোস্টার, কারো সঙ্গে ছিলো জাতীয় পতাকা। প্রবাসীরা মোমবাতি প্রজ্জ্বলিত করে চলমান সহিংসতার প্রতিবাদ জানান। তারা 'এক দফা এক দাবি, খুনি হাসিনা কবে যাবি', 'লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই', 'দফা এক, দাবি এক, খুনি হাসিনার পদত্যাগ'-এরকম নানান স্লোগানে মুখর করে তুলেন হোয়াইট হাউস প্রাঙ্গণ।

বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে অনুষ্ঠানে শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়। প্রবাসীদের শপথ বাক্য পাঠ করান সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মী মুশফিকুল ফজল আনসারী।

শপথ বাক্যে বলা হয়, "মহান সর্ব শক্তিমান আল্লাহর নামে শপথ করছি যে, আজ থেকে খুনি শেখ হাসিনার পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের প্রবাস থেকে বাংলাদেশের স্বৈরাচারি সরকারের প্রতি অসহযোগ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। আমরা আমাদের সর্ব শক্তি নিয়ে যে যেখানে আছেন সেখান থেকে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো।

আবু সাঈদসহ হাজার হাজার ছাত্র জনতার রক্তকে আমরা বৃথা যেতে দেবনা। বাংলাদেশকে আমরা বিনির্মাণ করবো আমাদের ছাত্রদের ত্যাগ, সাহস, শক্তি এবং উদ্যমের মধ্য দিয়ে। মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।"

বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তা ড. জিয়া হায়দার, সেভ বাংলাদেশের জাহিদ খান,  কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব নয়ন বাঙ্গালী, হাফিজ খান সোহেল, সালেহ মনসুর পরশ, মজনু মিয়া, তুহিন ইসলাম, মোহাম্মদ কাজল, কামরুন কনা এবং আব্দুর রহিম প্রমুখ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।