ভারতে মুসলমানদের বিরুদ্ধে মোদির আক্রমণাত্মক বক্তব্য এবং স্যোশাল মিডিয়ায় হস্তক্ষেপ প্রসঙ্গে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

ভারতে মুসলমানদের বিরুদ্ধে মোদির আক্রমণাত্মক বক্তব্য এবং স্যোশাল মিডিয়ায় হস্তক্ষেপ প্রসঙ্গে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র Photo: Mushfiqul Fazal, Just News BD

মুশফিকুল ফজল আনসারী, স্টেট ডিপার্টমেন্ট করেসপন্ডেন্ট

ভারতে চলমান জাতীয় নির্বাচনে মুসলমানদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আক্রমণাত্মক বক্তব্য এবং ফেইসবুক, ইউটিউব, টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার এ প্রসঙ্গে স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান প্রশ্নটি গ্রহণ করা হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র কী ধরণের পদক্ষেপ নেবে সে বিষয়ে খোলাসা করে কিছু বলেননি মিলার।

বৃহস্পতিবার স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ভারতে চলমান নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভীতি প্রদর্শন, মুসলমানদের লক্ষ্য করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আক্রমণাত্মক বক্তব্য প্রদানসহ বিভিন্ন ইস্যুতে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে এ কথা বলেন মিলার।

ব্রিফিংয়ে ভারতে মত প্রকাশ বিঘ্নিত হওয়া এবং মুসলমানদের মধ্যে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ার কথা উল্লেখ করে স্টেট ডিপার্টমেন্ট করেসপন্ডেন্ট মুশফিকুল ফজল আনসারী জানতে চান, "বিশ্বের সবচেয়ে বড় নির্বাচন ভারতে নির্বাচন শুরু হয়েছে। কিন্তু দেশটিতে ভীতি প্রদর্শন, হয়রানির মাত্রা বেড়েছে, মুসলমানদের উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির আক্রমণাত্মক বক্তব্য প্রায় ২০ কোটি মুসলমানের মধ্যে ভীতি ও অনিশ্চয়তার সৃষ্টি করেছে। একই সময়ে ভারত সরকারের অনুরোধে টুইটার, গুগল, মেটার মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো সরকার বিরোধি কন্টেন্ট সরিয়ে নিচ্ছে। এটি মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্থ করছে। যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক এসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর সুরক্ষা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতে কী ধরনের পদক্ষেপের কথা ভাবছেন?"

জবাবে মুখপাত্র মিলার বলেন, "আপনার প্রশ্নটি গ্রহণ করা হলো। সুনির্দিষ্ট কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে সেটা নিয়ে আগাম বলার মতো কিছু নেই। তবে নিশ্চিতভাবে যেটা বলতে চাই সেটা হলো, পৃথিবীর সব দেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে আমরা সমর্থন করি।"

এমআর/