ইন্ডিকেটর বোর্ড দিয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ীর বাড়ি চিহ্নিত করল বিজিবি

ইন্ডিকেটর বোর্ড দিয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ীর বাড়ি চিহ্নিত করল বিজিবি

সুনামগঞ্জে ২৮-ব্যাটালিয়ন বিজিবি তাহিরপুর উপজেলায় সম্প্রতি ১১৩পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আটক এক ব্যবসায়ীর বাড়ির সামনে ‘এই দিকে ইয়াবা ব্যবসায়ী নবীবুল ইসলাম (৩৪) এর বাড়ি’ লেখা সাইন র্বোড ঝুঁলিয়ে দিয়েছে।

পথচারীরা এই লেখা বেশ আনন্দের সাথেই দাড়িয়ে পড়ছে। এনিয়ে এলাকা জুড়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় সেই সাথে ব্যাপক হাস্যকর পরিবেশের সৃষ্টি উঠেছে। সেই সাথে বিজিবির এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে জেলার সুধি মহল।

নবীবুল উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের লাউড়েরগড় গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা হলেও একেই উপজেলার পিরিজপুর গ্রামের আলী মাহমুদ ছেলে।

এদিকে, মঙ্গলবার (০৩,০৯,১৯) সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল মাকসুদুল আলম লাউড়ের গড় এলাকার গন্যমান্য লোকজনকে নিয়ে মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় ইয়াবা ব্যবসায়ীকে সামাজিকভাবে বয়কট, মাদক সেবীদের ভীতি সঞ্চার, মাদক ও চোরালানে নিরোৎসাহী হওয়াসহ সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টিতে ইন্ডিকেটর বোর্ড বিশেষ কাজে লাগবে বলে অভিমত ব্যক্ত করলে এলাকার লোকজন এতে একমত পোষণ করেন এবং এলাকার জন প্রতিনিধিও গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ইয়াবা ব্যবসায়ী নবীবুল ওরফে রফিকের বাড়িতেও রাস্থায় ইন্ডিকেটর বোর্ড লাগানো হয়। এসময় বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল মাকসুদুল আলমও অন্যান্য দায়িত্বশীল কর্মকর্তাসহ এলাকার জনপ্রতিনিধি ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, নবীবুল র্দীঘ দিন ধরেই উপজেলার লাউড়েরগড় গ্রামে বিয়ে করে বসবাস করছে। এর সুবাধে নবীবুল স্থানীয় চোরাকারবারীদের সাথে মিলে ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রি শুরু করে। গত শুক্রবার লাউড়েরগড় বিজিবির সদস্যরা গোপন সংবাদের বিত্তিত্বে ১১৩পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আটক করে তাকে। আটকের পর থাকে মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এখন সুনামগঞ্জ জেল হাজতে আছে।

এছাড়াও তার বিরুদ্ধে তাহিরপুর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আটকের পর বিজিবি নবীবুলের বাড়ির সামনে কাঠের তৈরী ষ্ট্যান্ড তৈরী করে সাদা কাগজে তীর চিহ্ন দিয়ে লিখে দিয়েছে ‘এই দিকে ইয়াবা ব্যবসায়ী নবীবুল ইসলাম (৩৪) এর বাড়ী’। এছাড়াও বিজিবি যাদের ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আটক করা হবে তাদের বাড়িতে এভাবেই সাইন বোর্ড টানিয়ে দিবে বলে বিজিবি সূত্রে জানা যায়।

স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবী জানান, উপজেলা সীমান্তে যারা চোরাচালান করে এবং তাদের মদদ দাতাদের নাম বিভিন্ন সময় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এবং যারা ওই সব চোরাচালানীদের সাথে আতাত করে মাসোয়াহা নিচ্ছে এবং ইয়াবা ট্যাবলেট সহ আটক হয়েছে উঠতি বয়সী যুব সমাজকে রক্ষায় তাদের বিরোদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান।

সুনামগঞ্জ ২৮ব্যাটালিয়নের বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মাকসুদুল আলম জানান, লোক লজ্জার ভয়ে যারা ইয়াবা ব্যবসা ও ইয়াবা ট্যাবলেট পরিবহন যারা করে তারা এই ব্যবসা ছেড়ে দিবে অথবা এই ব্যবসা থেকে দূরে থাকবে সেই উদ্যোশ্যেই এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে এটা স্থায়ীভাবে করা হয় নি। মূলত সামাজিক সচেতনতা ও সর্তক হবার জন্যই এই ব্যবস্থা। আশা করি সবাই নিজেদের পরিবার আগামীর সন্তান ও মা বাবার সম্মানের কথা চিন্তা করে এবং যুব সমাজকে অবক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে একটু হলেও ওই সব ব্যবসায়ীদের মাঝে মূল্যবোধ জাগবে।

এমআই