শেরপুরে বাড়ছে পানি, চেল্লাখালীতে ছাড়িয়েছে বিপদসীমা

শেরপুরে বাড়ছে পানি, চেল্লাখালীতে ছাড়িয়েছে বিপদসীমা

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি আবারও বাড়তে শুরু করেছে। এতে জেলার চারটি নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি রয়েছে। এর মধ্যে চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়তে থাকায় বন্যার শঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুর ১২টায় চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এ ছাড়া ভোগাই ও শেরপুরে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি রয়েছে। ঝিনাইগাতীতে মহারশি ও সোমেশ্বরী নদীর পানি রাত থেকে বাড়তে শুরু করেছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তুরা জেলায়ও গত বুধবার রাত থেকে বৃষ্টি বেড়েছে। ফলে মেঘালয় থেকে নেমে আসা ঢলে জেলার চেল্লাখালী, ভোগাই, মহারশি ও সোমেশ্বরী নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে।

পাউবোর শেরপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আখিনুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, জেলার চারটি নদ-নদীর পানি বেড়েই চলেছে। এর মধ্যে চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় পাহাড়ি ঢলে নদী রক্ষা বাঁধের কোনো ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা নেই। আজ ও আগামীকাল বৃষ্টি না হলে নদীর পানি কমে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

নালিতাবাড়ী উপজেলার চেল্লাখালী নদীর পাড়ের সন্ন্যাসীভিটা গ্রামের বাসিন্দা আক্কাছ আলী বলেন (৫০), ‘বৃহস্পতিবার রাত থাইক্যা নদীতে যেমনে ঢলের পানি আসা শুরু হইছে। এতে আমরা বন্যার আশঙ্কা করতাছি। অহন যদি বৃষ্টিও না কমে আর পানিও আরও বাড়ে, তাইলে আমরা বিপদে পড়মু।’

ঝিনাইগাতীর দিঘিরপাড় এলাকার গৃহিণী আছমত আরা (৩৮) বলেন, ‘কয় দিন আগেই বন্যার কাছ থাইক্যা আল্লাহ বাঁচাইছে। অহন আবার যেমন কইরা বৃষ্টি হইতাছে আর মহারশির পানি বাড়তাছে, কহন জানি বন্যা হয়।’

বাঘবেড় ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নূরে আলম প্রথম আলোকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকে চেল্লাখালী নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। ঢলের পানি আর বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।

ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে মহারশি ও সোমেশ্বরী নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে এবং ঢলের পানি বাড়লে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাঁরা প্রস্তুত আছেন।