নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে বিশ্বসেরা বাংলাদেশী ৫ তরুণ

নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে বিশ্বসেরা বাংলাদেশী ৫ তরুণ

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাকাশ বিষয়ক সংস্থা নাসার উদ্যোগে আয়োজিত ‘নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ’ এ অংশ নিয়ে প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিযোগীতার ছয় ক্যাটাগরির মধ্যে ‘বেস্ট ইউজ অব ডাটা’ ক্যাটাগরিতে ক্যালেফোর্নিয়া, কুয়ালালামপুর ও জাপানের তিনটি দলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে শাবির টিম সাস্ট অলিক। শুক্রবার রাতে প্রতিযোগীতার অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়।

বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্বকারী দল সাস্ট অলিক’র সদস্যরা হলেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের শিক্ষার্থী এসএম রাফি আদনান, ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের শিক্ষার্থী কাজী মাইনুল ইসলাম, একই বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের শিক্ষার্থী আবু সাদিক মাহদি ও ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী সাব্বির হাসান। মেন্টর হিসেবে দলে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের সহকারি অধ্যাপক বিশ্বপ্রিয় চক্রবর্তী। এর মধ্যে মাইনুল আর মাহদী সেকেন্ড মেজর হিসেবে সিএসই নিয়েছিলেন।

বিশ্বপ্রিয় চক্রবর্তী জানান, আমাদের প্রকল্পের নাম ছিলো ‘লুনার ভিআর’ যা একটি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এ্যাপ। নাসা প্রদত্ত বিভিন্ন ডাটা ব্যবহার করে এই এ্যাপটি তৈরী করা হয়েছে। এ্যাপটির মাধ্যমে নাসা আপোলো ১১ মিশন এর ল্যান্ডিং এরিয়া ভ্রমণ, চাঁদ থেকে সূর্যগ্রহণ দেখা এবং চাঁদকে একটি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ভার্চুয়ালভাবে আবর্তন করা যাবে।

চলতি বছর স্পেস এ্যাপস চ্যালেঞ্জের সেরা প্রকল্প খুঁজে বের করতে বিশ্বের প্রায় দুই শতাধিক শহরে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে নাসা। বাংলাদেশের নয়টি শহর থেকে জমা পড়ে দুই হাজারের বেশি প্রজেক্ট। এর মধ্য থেকে মাত্র আটটি প্রকল্প অংশ নেয় নাসা স্পেস এ্যাপস চ্যালেঞ্জের বৈশ্বিক পর্বে। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ৭৯ টি দেশের বাছাইকৃত ২ হাজার ৭২৯ টি দলের সাথে লড়াই করে চ্যাম্পিয়ন হয় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম সাস্ট অলিক। এছাড়া বেস্ট ইউজ অব হার্ডওয়ার ক্যাটাগরিতে শীর্ষ দশে জায়গা করে নিয়েছে ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের দল ‘প্ল্যানেট কিট’।

এদিকে শিক্ষার্থীদের এ অসামান্য সাফল্যে বিজয়ী দল ও বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানান ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের এই অর্জনে আমরা গর্বিত। এ গর্বের অংশীদার বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাই। আশা করি ভবিষ্যতেও এভাবে আমাদের ছেলেমেয়েরা দেশের জন্য সম্মান ও গৌরব বয়ে আনবে।