অর্ধকোটি সিম বন্ধ করে দেবে বিটিআরসি!

অর্ধকোটি সিম বন্ধ করে দেবে বিটিআরসি!

 

ঢাকা, ৬ মার্চ (জাস্ট নিউজ) : একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ১৫টির বেশি সিম নিবন্ধন হয়েছে- এমন কয়েক লাখ জাতীয় পরিচয়পত্রের সন্ধান পেয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। যেখানে সব মিলে অতিরিক্ত প্রায় অর্ধকোটি সিম রয়েছে। অতিরিক্ত নিবন্ধন করা এ অর্ধকোটি সিমই বন্ধ করে দেবে বিটিআরসি।

আগের ঘোষণা অনুসারে ২৮ ফেব্রুয়ারি ছিল গ্রাহকের নামে থাকা অতিরিক্ত সিম নিষ্ক্রিয় করার সময়সীমা। এ সময়ের মধ্যে খুব কম সাড়াই পেয়েছে বিটিআরসি।

তবে সীমার অতিরিক্ত সিম বন্ধের প্রক্রিয়া কবে থেকে শুরু হবে, সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। সিদ্ধান্ত ছিল প্রিপেইড, পোস্টপেইড মিলে একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে সর্বোচ্চ ১৫টি সিম নিবন্ধন করা যাবে।

অপারেটরদের জানানোর পাশাপাশি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে গ্রাহকদেরও বিষয়টি জানানো হয়েছিল। বিজ্ঞপ্তিতে তখন বলা হয়, ১৫টির বেশি নিবন্ধন করা সিম অবৈধ বলে ধরা হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এ অতিরিক্ত সিম নিষ্ক্রিয় না করা হলে অপারেটরের মাধ্যমে বিটিআরসি নিজেই তা বন্ধ করে দেবে। এক্ষেত্রে গ্রাহকের যে কোনো সিম বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

বিটিআরসির সংশ্লিষ্ট বিভাগ বলছে, তারা প্রায় ৫০ লাখ সিমের সন্ধান পেয়েছে যেটি অতিরিক্তের খাতায় চলে যাবে। ফলে এখন এটি বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু করবেন তারা। সময় পেরিয়ে গেলেও যে জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ১৫টির বেশি সিম নিবন্ধন হয়েছে, তাতে গ্রাহক চাইলে তার পছন্দের নম্বরগুলো রেখে বাকিগুলো বন্ধ করে দিতে পারেন।

তার জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে কয়টি সিমের নিবন্ধন হয়েছে সেটি জানতে *১৬০০১# ডায়াল করলে ফিরতি এসএমএসের এনআইডির নম্বরের শেষ চার ডিজিট লিখে দিলেই জানতে পারবে তার নামে কয়টি সিমের নিবন্ধন আছে।

এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর থেকে সব মোবাইল ফোন নম্বরের নিবন্ধন হয়। তার আগে অবশ্য একটি এনআইডির বিপরীতে লক্ষাধিক সিমের নিবন্ধনের তথ্যও পাওয়া গিয়েছিল। তারপরই শুরু হয় সিমের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন। ২০১৬ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৭ সালের ৩১ এপ্রিল পর্যন্ত চলে এ নিবন্ধন। টেকশহর।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১৬০০ঘ)