ফের ব্রেক্সিট গণভোটের দাবিতে লন্ডনে সাড়ে ৬ লাখ মানুষের বিক্ষোভ

ফের ব্রেক্সিট গণভোটের দাবিতে লন্ডনে সাড়ে ৬ লাখ মানুষের বিক্ষোভ

ঢাকা, ২৩ অক্টোবর (জাস্ট নিউজ) : ব্রেক্সিট ইস্যুতে আবারো গণভোটের দাবি জানিয়েছে প্রায় ৭ লাখ বৃটিশ নাগরিক। প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে যখন চেকার্সের ব্রেক্সিট পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার জন্য সংগ্রাম করছেন, এসব মানুষ লন্ডনের রাজপথে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দাবি, ইইউ থেকে বৃটেনের বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আবারো গণভোটের আয়োজন করা হোক। বলা হচ্ছে, এক দশকের মধ্যে এটি যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বড় জনসমাগম।

অনলাইন ইন্ডিপেন্ডেন্টের খবরে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ মানুষ লন্ডনের বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন। মাইলের পর মাইল শুধু মানুষ আর মানুষ। এর আগে বৃটেন সর্বশেষ এ ধরণের জনসমাগম দেখেছে ২০০৩ সালে। তখন ইরাক যুদ্ধের বিরোধিতা করে রাজধানীতে জড়ো হয়েছিল ১০ লাখেরও বেশি মানুষ।

বিক্ষোভে অংশ নেয়া কনজারভেটিভ পার্টির এমপি আনা সুব্রি বলেন, এক সময় আমরা সংখ্যায় কম ছিলাম। কিন্তু এখন আমরা অনেক। আমরা গণভোটের মাধ্যমে এই অচলাবস্থার অবসান ঘটাবো।

তিনি বলেন, দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির পর কনজারভেটিভ পার্টির অনেক এমপি ব্যক্তিগতভাবে দ্বিতীয় গণভোটের পক্ষে ছিলেন। তারাও এ বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছেন।


লিবারেল ডেমোক্রেট পার্টির এমপি লায়লা মোরান বলেন, বিক্ষোভে বিপুল জনসমাগম বুঝিয়ে দেয় যে, নতুন গণভোটের দাবিতে মানুষের আত্মবিশ্বাস বাড়ছে। বলা হচ্ছে যে, নতুন গণভোটের আয়োজন করা হলে তা হবে অগণতান্ত্রিক ও দেশাত্ববোধশূন্য। কিন্তু বাস্তবতা এর বিপরীত।

দ্বিতীয় গণভোটের দাবিতে আন্দোলনকারীরা মূলত ইইউর সঙ্গে থাকার পক্ষে। তারা যে বৃহৎ পরিসরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন, তা ব্রেক্সিটের সমর্থকদের থেকেও অনেক বেশি। বিক্ষোভকারীরা নীল ও সোনালী রংয়ের ইইউ’র পতাকা নিয়ে বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন। অনেকে ‘ব্রেক্সিট ব্লক’ লেখা ব্যানারও প্রদর্শন করছেন। বিক্ষোভকারীরা ব্রেক্সিট ইস্যুতে আবারো ভেবে মতামত দেয়ার সুযোগ দিতে নতুন করে গণভোট আয়োজন করতে বৃটেন সরকারের প্রতি আবেদন জানিয়েছে।

বিক্ষোভ সমাবেশটি এমন একটি সময় প্রদর্শন করা হল যখন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী আবারো ব্রেক্সিটচুক্তি করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ২০১৯ সালের মার্চের মধ্যে ইইউ’র সাথে চূড়ান্ত ব্রেক্সিট চুক্তি স্বাক্ষর করার কথা থাকলেও এখনো সমঝোতায় আসা সম্ভব হয়নি। যুক্তরাজ্যের অধীন উত্তর আয়ারল্যান্ড সীমান্ত নিয়ে আয়ারল্যান্ডের সাথে সমঝোতা না হওয়ায় ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে নতুন আরেকটি আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

(জাস্ট নিউজ/ডেস্ক/একে/১৭৫৫ঘ.)