ঢাকা, ১১ জানুয়ারি (জাস্ট নিউজ) : পাঞ্জাব প্রদেশের কাসুরে সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে সরব হয়ে উঠেছে গোটা পাকিস্তান। দেশটি বিভিন্ন অঞ্চলে বৃহস্পতিবারও দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। এ দিকে ধর্ষণে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার না পেলে শিশু জয়নাবের লাশ দাফন না করার ঘোষণা দিয়েছেন তার মা।
গত বুধবার শুরু হওয়া বিক্ষাভে জনতার ওপর পুলিশ গুলি চালালে দু’জন নিহত হয়। বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানোর অভিযোগে চার পুলিশ সদস্যকেও গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি করা হয়েছে। শহরটিতে শিশু ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা বেড়ে চললেও, প্রশাসন কোনো ভূমিকা রাখছে না বলে দাবি বিক্ষোভকারীদের।
‘জাস্টিস ফর জয়নাব’ স্লোগে এখন মুখর গোটা পাকিস্তান। সাধারণ মানুষই নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব হয়েছেন তারকারাও। সাবেক ক্রিকেটার ও রাজনীতিবিদ ইমরান খান, সাবেক রাষ্ট্রপতি পারভেজ মুশাররফ, ক্রিকেটার শোয়েব মালিক, মোহাম্মদ হাফিজের মতো তারকারাও আছেন সে তালিকায়।
সিসিটিভি ফুটেজ থাকা সত্ত্বেও কেন পুলিশ মূল অভিযুক্তকে ধরতে পারছে না, সে প্রশ্নই বার বার তুলছে বিক্ষুব্ধ জনতা। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ সহিংস হয়ে উঠছে মাঝে মাঝেই, পুলিশও চুপ করে থাকছে না।
জয়নাবের পরিবারের দাবি, মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার পরই পুলিশকে জানায় তারা। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। জয়নাবের বাবা আমিন আনসারি বলেন, ‘এ ঘটনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমি আমার মেয়েকে কবর দেবো না। প্রধান বিচারপতির কাছে যাবো। মানবতা বলতে যদি কোনো কিছু থাকে, তবে বিচার পাবোই।’
এরই মধ্যে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক করা হয়েছে চারজনকে। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ দোষীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে নির্দেশ দিয়েছেন।
গত সপ্তাহে অপহরণ করা হয় জয়নাব আনসারিকে। মঙ্গলবার রাতে আবর্জনার স্তুপ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তে বলা হয়েছে, ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় জয়নাবকে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত দুই বছরে কাসুরে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয়েছে অন্তত ১২ শিশু। এদের মধ্যে পাঁচজনের হত্যার ঘটনায় একজনকেই সন্দেহ করছে পুলিশ। এ পর্যন্ত ৯০ সন্দেহভাজনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সূত্র: জিও নিউজ উর্দু ও ডন নিউজ
(জাস্ট নিউজ/জেআর/১৪৩০ঘ.)