ভেনেজুয়েলায় সামরিক হস্তক্ষেপের বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে: ট্রাম্প

ভেনেজুয়েলায় সামরিক হস্তক্ষেপের বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে: ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির সিবিএস টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ভেনেজুয়েলায় সামরিক হস্তক্ষেপ করাটাও তার বিবেচনার মধ্যে রয়েছে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর বৈঠকে বসার আহ্বান তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে দেখা যাচ্ছে, দেশটিতে হওয়া আন্দোলন ফল দিচ্ছে।

এদিকে রুশ সংবাদমাধ্যম আইফ্যাক্সের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে সতর্ক করেছে রাশিয়া। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, সংকট উত্তরণে সহযোগিতা দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত নয়, ভেনেজুয়েলায় কোনও হস্তক্ষেপ করা।

গত জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে ভেনেজুয়েলার নির্বাচন। তাতে জিতে দ্বিতীয় মেয়াদে দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন বামপন্থী প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। কিন্তু বিরোধী দলসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কারচুপির অভিযোগ তুলেছে। বিরোধীদের এমন দাবির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অর্থনৈতিক মন্দা। অর্থনৈতিক সংকটে জনগণের পুঞ্জিভূত ক্ষোভ শেষ পর্যন্ত পরিণত হয় সরকারবিরোধী বিক্ষোভে। আর ব্যাপক এই বিক্ষোভের জেরেই গত ২৩ জানুয়ারি নিজেকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন বিরোধী দলীয় নেতা জুয়ান গুইদো। কয়েক মিনিটের মাথায় তাকে ‘স্বীকৃতি’ দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন,

‘ভেনেজুয়েলার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির প্রেসিডেন্ট জুয়ান গুইদোকে আমি দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছি।’

মাদুরোর পক্ষে দাঁড়িয়েছে চীন ,রাশিয়া ও তুরস্কের মতো দেশ। অন্যদিকে বিরোধী নেতা জুয়ান গুইদোকে সমর্থন জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, এমন কি ইউরোপীয় পার্লামেন্ট। রবিবার (৩ জানুয়ারি) সিবিএস চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড ট্রাম্প বেলেছেন, ‘অবশ্যই, সামরিক হস্তক্ষেপ বিবেচনায় আছে, এটা একটা অপশন।’ বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি নিজে যে ভেনেজুয়েলার ক্ষমতাসীন সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান না তা উল্লেখ করে ট্রাম্প জানিয়েছেন, মাসখানেক আগেই তিনি মাদুরোর সাক্ষাতের অনুরোধ ফিরিয়ে দিয়েছেন। বর্তমানে আন্দোলনকারীদের প্রবল চেষ্টার ফলাফল আসতে দেখা যাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্টের বক্তব্য প্রচারিত হওয়ার পর রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ মন্তব্য করেছেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের লক্ষ্য হওয়া উচিত ভেনেজুয়েলাকে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে মুক্ত করার ব্যবস্থা করা; সেখানে হস্তক্ষেপ করা নয়।’ এদিকে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মন্তব্য করেছেন, ‘যারা গুইদোকে সমর্থন করছেন, তারা ভেনেজুয়েলার ক্ষতি বাড়িয়ে তুলছেন।’

জিএস/