সরকার পতনের আন্দোলনে উত্তাল স্পেন

সরকার পতনের আন্দোলনে উত্তাল স্পেন

কট্টর ডানপন্থীদের ডাকে সরকার পতনের আন্দোলনে উত্তাল স্পেন। গতকাল রবিবার কট্টর ডানপন্থীদের ডাকে রাজধানী মাদ্রিদে বিক্ষোভে নামে কয়েক হাজার মানুষ। কাতালুনিয়ার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে সরকার আলোচনার উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনা করাতেই দলগুলো এ বিক্ষোভ করছে।

বিবিসি বলছে, মধ্য-ডানপন্থী দল পপুলার পার্টি (পিপি) এবং সিটিজেনস পার্টির অভিযোগ, সমাজতান্ত্রিক প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ স্বাধীনতাকামী অঞ্চল কাতালুনিয়া সরকারের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করছেন। আগামীকাল মঙ্গলবার দেশটির সুপ্রিমকোর্টে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আলোচিত ১২ কাতালান নেতা ও মানবাধিকার কর্মীর বিচার।

রাজধানী মাদ্রিদের ‘কোলন স্কয়ার’ এবং আশেপাশের সড়কগুলোকে প্রায় ৪৫ হাজার মানুষ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে। এ সময় তারা ‘স্পেনের ঐক্যের জন্য এখনই নির্বাচন চাই’ বলে স্লোগান দিয়েছে।

স্পেনের উত্তর-পূর্বের সমৃদ্ধ অঞ্চল কাতালুনিয়ার ২০১৭ সালে স্পেন থেকে বিচ্ছিন্ন হতে গণভোটের আয়োজন করে অভিযুক্তরা। তবে জয় পেলেও সংবিধানের অজুহাতে অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ নেন তৎকালীন স্পেন সরকার। যার পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন কাতালান প্রেসিডেন্ট কার্লোস পুজদেমন সরকার একতরফা স্বাধীনতা ঘোষণা করে গ্রেপ্তার এড়াতে বেলজিয়াম পালিয়ে যান।

স্বাধীনতা ঘোষণার পর স্পেন সরকার কাতালান পার্লামেন্ট বিলুপ্ত ঘোষণা করে ক্ষমতা নিজেদের হাতে তুলে নেয় এবং আগাম নির্বাচন ঘোষণা করে। ওই বছর ডিসেম্বরের আগাম নির্বাচনে বিচ্ছিন্নতাবাদীরাই পুনরায় জয়লাভ করে সরকার গঠন করে।

তবে পুজদেমনের আর দেশে ফেরা হয়নি। স্পেন সরকার তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ‍জারি করায় কয়েকবার উদ্যোগ নিয়েও তিনি দেশে ফিরতে ব্যর্থ হন।

বর্তমান নতুন প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার এই দূরত্ব ঘোচানোর চেষ্টা করছেন। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে আলোচনার জন্য সেখানে একজন দূত পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। তবে ডানপন্থী দলগুলো ওই প্রস্তাবকে ‘প্রতারণা’ এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কাছে ‘আত্মসমর্পণ’ বলে বিবেচনা করছে। তারা কোনোভাবেই কাতালুনিয়ার স্বাধীনতা চায় না। যদিও স্পেন সরকারও স্বাধীনতার বিপক্ষে।

অন্যদিকে কাতালুনিয়ার বিচ্ছিন্নতাবাদী সরকার স্বাধীনতাই চায়, কোনো আলোচনা নয়। তাই তারা কেন্দ্র সরকারের আলোচনার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে।

এমআই