ইসরাইলের সঙ্গে ‘নতুন সম্পর্ক’ করতে চায় সৌদি আরব

ইসরাইলের সঙ্গে ‘নতুন সম্পর্ক’ করতে চায় সৌদি আরব

সৌদি ও ইসরাইলের সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য উভয় দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাঝে গোপন যোগাযোগ হয়েছে বলে দাবি করেছে সৌদি আরবেরই উচ্চপর্যায়ের একাধিক সূত্র। যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানের শাসনামলে দুদেশের সম্পর্ক কল্পনাতীত অগ্রসর হলেও এই সম্পর্ককে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিতে চায় রিয়াদ।

সূত্রটি বলছে, উভয় দেশের সম্পর্ক এই পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে যে, সৌদি-ইসরাইল কর্মকর্তাদের মাঝে সাপ্তাহিক বৈঠক হচ্ছে আরব ও আরবের বাইরের বিভিন্ন রাজধানীতে। এতে মধ্যস্থতা করছে ওয়াশিংটন ও অন্যান্যা দেশের কর্মকর্তারা।

তবে সম্পর্ক পাকাপোক্ত হওয়ার আগে রিয়াদের কর্মকর্তারা বিষটিকে এখনও গোপন রাখতে চায়। রিয়াদ বিষয়টি গোপন রাখতে চাইলেও ইসরাইলের দুটি পত্রিকা গত দুই সপ্তাহ ধরে বিষয়টির ওপর ব্যাপক পর্যালোচনা করায় বিপাকে পড়েছে সৌদি। ফলে সৌদি আরব পত্রিকা দুটির ওপর বেশ চটেছে। পত্রিকা দুটি হলো, ইসরাইলি দৈনিক হারেৎজ ও হিব্রু চ্যানেল ১৩।

এই মুহূর্তে রিয়াদ বিষয়টি পরিপূর্ণ গোপন রাখতে চায়। কারণ বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে আরব ও ইসলামি বিশ্ব তাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে যাবে। রিয়াদ এ বিষয়ে পত্রিকা দুটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছে ইসরাইলকে। ইসরাইল এতটুকু রাজি হয়েছে যে, সৌদি কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাদের যে কোনো বৈঠক বা যোগাযোগের গোপনীয়তা রক্ষা করবে।

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহজুড়ে ইসরাইলি পত্রিকা উভয় দেশের গোপন সম্পর্কের ব্যাপারটিকে খুব জোরালোভাবে আলোচনায় এনেছে।

হিব্রু চ্যানেল ১৩ গত ১২ ফ্রেব্রুয়ারি সৌদি-ইসরাইল গোপন সম্পর্কের ব্যাপারে দীর্ঘ প্রতিবেদন পেশ করে বলেছে, সৌদি ও ইসরাইল প্রচণ্ড আরব ঝড়ের মুখে দুজন একই নৌকার আরোহীর মতো।

২০১৭ সালে যখন মোহাম্মাদ বিন সালমান ক্ষমতায় আসে তখন থেকে সৌদি-ইসরাইল সম্পর্ক উন্নতির দিকে যায়। গত বছর ডিসেম্বরে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানায়, মোহাম্মাদ বিন সালমান এই সম্পর্কের প্রতি জনসমর্থন আদায় করার জন্য কিছু লেখক-সাংবাদিক নিয়োগ দিয়েছে। সূত্র: আল-খলিজ অনলাইন।

এমআই