বিমান হামলায় ২০০-৩০০ সন্ত্রাসী নিহত: ভারতীয় মিডিয়া

বিমান হামলায় ২০০-৩০০ সন্ত্রাসী নিহত: ভারতীয় মিডিয়া

 

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া এলাকায় বালাকোটের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারতীয় বিমান বাহিনী বোমা বর্ষণ করেছে। মঙ্গলবার এ হামলা হয়েছে বলে হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে।

গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি বলছে, ভারতীয় বিমান বাহিনী মিরাজ-২০০০ যুদ্ধ বিমান দিয়ে লেজার-গাইডেড বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ২০০-৩০০ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। ইসরাইলি প্রযুক্তিতে তৈরি লেজার-গাইডেড বোমা কারগিলে প্রথম ব্যবহার করা হয়েছিল।

তবে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে নিজের সরকারি বাসভবনে নিরাপত্তা বৈঠকে বসেছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

সরকারি সূত্র জানিয়েছে, ছয় থেকে সাত একর জমিতে বালাকোট ক্যাম্প অবস্থিত। পাকিস্তানে জইশ-ই-মোহাম্মদের এটাই সবচেয়ে বড় ক্যাম্প বলে জানা গেছে।

মুজাফফরাবাদ সেক্টরে ভারতীয় বিমান অনুপ্রবেশ করেছিল বলে স্বীকার করেছেন পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আসিফ গফুর।

মঙ্গলবার টুইটারে তিনি লিখেছেন- ভারতীয় বিমান নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সীমান্ত লঙ্ঘন করলেও পাকিস্তানি বিমানের তাড়া খেয়ে পালিয়ে গেছে।

পরবর্তী সময় তিনি বলেন, পাক বিমানবাহিনী যথাসময়ে ও কার্যকরভাবে সাড়া দিয়েছে। তাড়া খেয়ে পালানোর আগে বালাকোটের কাছে বোমা ফেলে গেছে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

পরবর্তী সময় আসিফ গফুর বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরের মুজাফফরাবাদ সেক্টরের ভেতর তিন থেকে চার মাইলের ভেতর ভারতীয় বিমান ঢুকে পড়েছিল।

তবে টুইটারে পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন দল পিটিআই বলেছে, আমরা বুঝতে পারছি- এটি ভারতীয় নির্বাচনের বছর। কাজেই সীমান্তে তারা বেশ বেপরোয়াই থাকবে। তবে ঘটনা হচ্ছে, পাকিস্তানি টহল বিমান তাদের তাড়িয়ে দিয়েছে।

এর আগে ভারতীয় কৃষিমন্ত্রী গাজেন্দ্র সিং শেখওয়াত বলেন, নিয়ন্ত্রণ রেখা পার হয়ে সন্ত্রাসীদের ক্যাম্পে আজ সকালে বিমান হামলা চালিয়েছে ভারতের বিমান বাহিনী। হামলায় সন্ত্রাসীদের ওই ক্যাম্প পুরোপুলি ধ্বংস হয়ে গেছে।

মুজাফফরাবাদ এলাকাটি পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের অংশ ও বালাকোট শহরটি কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে।

এর আগে ২০১৬ সালে নিয়ন্ত্রণরেখার অপর পাশে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাতটি শিবিরে সার্জিক্যাল হামলা চালানোর দাবি করেছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী।

ওই বছরের প্রথম দিকে জম্মু ও কাশ্মীরের উরি সেনাঘাঁটিতে হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ওই অভিযান চালানো হয় বলে দাবি করেছিল ভারত।

এমজে/