‘জইশ-ই-মোহাম্মদ’ প্রধানের ভাই ও ছেলে আটক

‘জইশ-ই-মোহাম্মদ’ প্রধানের ভাই ও ছেলে আটক

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারের ভাই ও ছেলেকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান।

মঙ্গলবার পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার খান আফ্রিদি জানান, দেশটির সরকারি অভিযানে মাসুদ আজহারের ভাই মুফতি আবদুল রউফ ও ছেলে হামাদ আজহারসহ জইশ-ই-মোহাম্মদের ৪৪ জন সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

এদিন পাকিস্তানের সব প্রদেশের গভর্নরদের উপস্থিতিতে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রসচিব আজম সুলেমান খান বলেন, ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী অভিযান অব্যাহত থাকবে। আমরা এমন ধারণা দিতে চাই না যে আমরা শুধু একটি সংস্থার বিরুদ্ধে তৎপর।’

আজম সুলেমান জানান, পুলওয়ামা হামলার পর ভারতের দেওয়া তালিকায় মুফতি আবদুল রউফ ও হামাদ আজহারের নাম রয়েছে। তবে এর মানে এই নয় যে শুধু তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

প্রয়োজনে নিষিদ্ধ সংগঠনগুলোর সব সম্পত্তিও জব্দ করা হবে বলে জানান পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রসচিব। সাংবাদিকরা জোর দিয়ে আটক অপর ৪২ জনের নামপরিচয় জানতে চাইলে এই মুহূর্তে আটক অন্যদের নাম প্রকাশ করা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।

এবারের অভিযান দুই সপ্তাহ চলবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অন্য কোনো দেশের বিরুদ্ধে আমাদের দেশের মাটিকে ব্যবহার হতে দেব না। পাকিস্তান নিজেই এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।’

জইশ-ই-মোহাম্মদের প্রধান মাসুদ আজহার পাকিস্তানেই রয়েছেন বলে গত সপ্তাহে এক সাক্ষাৎকারে জানান দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি।

গতকাল সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি আদেশ জারি করে পাকিস্তান। এতে বলা হয়, নিরাপত্তা পরিষদের ব্যাখ্যা মতে যারা সন্ত্রাসী সাব্যস্ত হবেন এমন যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি যেকোনো সময় বাজেয়াপ্ত করতে পারে পাকিস্তান সরকার।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ভারতীয় সেনা বহরে এক আত্মঘাতী হামলায় প্রায় অর্ধশত ভারতীয় সেনা নিহত হয়। পরে এ হামলার দায় স্বীকার করে পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদ।

পরে ভারত পাকিস্তানের বালাকোটে বিমান হামলা করে জইশ-ই-মোহাম্মদের ৩০০ জঙ্গিকে হত্যার দাবি করে। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, ওই ঘটনায় কেবল একজন আহত হয়েছে। এরপর পাকিস্তান তাদের ভূখণ্ডে ভারতীয় দুটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে বলে দাবি করে। এর একজন পাইলটকে আটকের দুদিন পর মুক্তিও দেয় পাকিস্তান।

এমজে/