মসজিদুল আকসায় ইসরাইলি পুলিশের নিয়ন্ত্রণের প্রতিবাদে গণবিক্ষোভের ডাক দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী দলগুলো। শুক্রবার জুমার নামাজের পর ইসরাইলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করবেন তারা।
এ ছাড়া জুমার নামাজে ব্যাপকহারে অংশগ্রহণের জন্য আল আকসা কর্তৃপক্ষও ফিলিস্তিনিদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে।
দ্যা প্যালেস্টাইন ইরফরমেশন সেন্টার জানিয়েছে, হামাসসহ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী দলগুলো শুক্রবার ব্যাপক বিক্ষোভের ঘোষণা দিয়েছে। গত মঙ্গলবার ইসরাইলি পুলিশ দিনভর আল আকসা মসজিদ নিয়ন্ত্রণে রেখে ফিলিস্তিনিদের প্রবেশে বাধা দেয়। এ নিয়ে দিনভর বিক্ষোভ চলে। অব্যাহত আন্দোলনের মুখে বুধবার সকালে ফটকের নিয়ন্ত্রণ ছাড়ে ইসরাইল।
বুধবার সকালে মসজিদে ঢুকে কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি ফজরের নামাজ আদায় করেন। ফটকের নিয়ন্ত্রণ ছাড়লেও ফিলিস্তিনে ব্যাপক ধরপাকড় চালাচ্ছে দখলদার বাহিনী। বুধবার সকালে ৩৯ ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করে ইসরাইলি পুলিশ। একই দিনে তাদের গুলিতে ২ যুবক নিহত হয়। মুসলমানদের প্রথম কেবলা মসজিদুল আকসাকে ঘিরে ফের উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে ফিলিস্তিনে।
এদিকে আল আকসার খতিব ও ফিলিস্তিনের গ্রান্ড মুফতি শাইখ মোহাম্মদ হুসাইন শাইখ বলেছেন, ইসরাইলি পুলিশকে আল আকসায় আর সহ্য করা হবে না। মঙ্গলবার দিনব্যাপী আল আকসা অবরোধের জন্য ইসরাইলকে কঠিন হুশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আল আকসা বিষয়ে আর কোনও ষড়যন্ত্র মেনে নেয়া হবে না।
মসজিদুল আকসা নিয়ে দখলদারি আচরণের জন্য ইসরাইলকে বুধবার কঠিন হুশিয়ারি দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান। ফিলিস্তিনে ইসরাইলের প্রতিটি আঘাতের পাল্টা জবাব দেয়া হবে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে ‘চোর’ ও ‘ফিলিস্তিনি শিশুদের হত্যাকারী’ বলেও আখ্যায়িত করেন এরদোগান।
আল আকসার ব্যাপারে কোনো ছাড় দেয়া হবে না জানিয়ে মুসলিম বিশ্বের প্রভাবশালী এ নেতা বলেন, ‘কুদসের অধিকার কেউ আমাদের ভুলিয়ে দিতে পারবে না। আল্লাহর সাহায্যে মুসলিম উম্মাহ এ দাবি থেকে কখনো সরবে না।
আল আকসায় আর কোনো হামলা সহ্য করা হবে না জানিয়ে এরদোগান বলেন, ‘আমাদের পবিত্র মসজিদের ওপর যে কোনো হামলায় আমরা রুখে দাঁড়াব। এখন থেকে প্রতিটি আঘাতের পাল্টা জবাব দেয়া হবে। আল আকসার বিষয়ে সবাই নীরব থাকলেও আমরা নীরব থাকব না।’
এমআই
