জাসিনদা আরডেনকে নোবেল পুরস্কার দেয়ার পিটিশন

জাসিনদা আরডেনকে নোবেল পুরস্কার দেয়ার পিটিশন

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিনদা আরডেনকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেয়ার দাবি উঠেছে। এরই মধ্যে দুটি পিটিশন করা হয়েছে। একটি পিটিশন করা হয়েছে চেঞ্জ ডট অর্গ (Change.org)-এ। আরেকটি করা হয়েছে ফরাসি ওয়েবসাইট আভাজ ডট অর্গ (AVAAZ.org)-এ। অনলাইনে এ দুটি পিটিশনে এরই মধ্যে স্বাক্ষর করেছেন কয়েক হাজার মানুষ। এ খবর দিয়েছে অনলাইন নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড।

গত সপ্তাহের শুক্রবারে দেশটির ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে জুমার নামাজের সময় নামাজরত মুসল্লিদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি করে ৫০ জনকে হত্যা করে সন্ত্রাসী ব্রেনটন টেরেন্ট। এরপর পরিস্থিতি যেভাবে সামলেছেন প্রধানমন্ত্রী জাসিনদা আরডেন সে জন্য তাকে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেয়ার এই দাবি তোলা হয়েছে।

চার দিন আগে পিটিশন করা হয়েছে চেঞ্জ ডট অর্গে। এতে কমপক্ষে ৩০০০ মানুষ স্বাক্ষর করেছেন অনলাইনে। অন্যদিকে ফরাসি সাইট আভাজ ডট অর্গে স্বাক্ষর করেছেন কমপক্ষে ১০০০ মানুষ।

ফরাসি সাইটে লেখা হয়েছে, ক্রাইস্টচার্চে বিয়োগান্তক ঘটনার পর, উপযুক্ত, উন্মুক্ত ও শান্তিপূর্ণভাবে যে পদক্ষেপ নিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিনদা আরডেন, আমরা আশা করি তার জন্য আগামী শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার তার হাতে তুলে দেয়া হবে।

ধারণা করা হচ্ছে, ফরাসি সাইটে এই আবেদনটির উদ্যোক্তা ফরাসি কবি ড. খাল তোরাবুলি। নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড লিখেছে, গত সপ্তাহের ওই অনাকাঙ্খিত ঘটনার পর দেশকে যেভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন জাসিনদা তার জন্য সারা বিশ্ব তার প্রশংসা করেছে। তার এ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে দুবাইয়ের বুর্জ খলিফায় তাকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। তাতে একজন মুসলিম নারীকে তিনি আলিঙ্গন করছেন এমন একটি ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। মুসলিমদের প্রতি তিনি যে আন্তরিক সহানুভূতি ও সমর্থন দেখিয়েছেন তার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ। বলেছেন, এর মধ্য দিয়ে বিশ্বের ১৫০ কোটি মুসলিমের শ্রদ্ধা অর্জন করেছেন জাসিনদা।

ওদিকে শুক্রবার রাতে জাসিনদার প্রশংসা করে নিউ ইয়র্ক টাইমসে একটি সম্পাদকীয় প্রকাশিত হয়েছে। এর শিরোনাম ‘আমেরিকা ডিজার্ভস এ লিডার অ্যাজ গুড অ্যাজ জাসিনদা আরডেন’। অর্থাৎ জাসিনদা আরডেনের মতো একজন উত্তম নেতা দাবি করে আমেরিকা। এতে বলা হয়, সন্ত্রাসের বিষয়ে যেভাবে পদক্ষেপ নিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিনদা আরডেন তার কাছ থেকে বিশ্বের শিক্ষা নেয়া উচিত। আরো বলা হয়েছে, আরডেন তার দেশের ওই এলাকার মানুষদের ক্ষোভের কথা শুনেছেন। মাত্র কয়েক দিনের মাথায় তিনি সামরিক ধরনের স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের বিষয়ে ঘোষণা দিয়েছেন। বলেছেন, এ অস্ত্র নিষিদ্ধ করা হবে।

এমজে/