ভুয়া সংবাদ প্রচার করে পাক-ভারত উত্তেজনা বৃদ্ধি করেছিল ভারতীয় সংবাদমাধ্যম: অরুন্ধতী

ভুয়া সংবাদ প্রচার করে পাক-ভারত উত্তেজনা বৃদ্ধি করেছিল ভারতীয় সংবাদমাধ্যম: অরুন্ধতী

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নির্বিচারে ভুয়া সংবাদ নির্মাণ করে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির বুকারজয়ী লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট অরুন্ধতী রায়। এভাবেই নিজের দেশের সংবাদমাধ্যমগুলোর তীব্র সমালোচনা করেন অরুন্ধতী রায়।

এ বিষয়ে সম্প্রতি কাশ্মীর ইস্যুতে পাক-ভারত উত্তেজনাকে উদাহরণ হিসেবে এনে তিনি বলেন, সেই সময়কালে বেশ কয়েকটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিরপেক্ষ খবর প্রচার না করে উল্টো যুদ্ধ লাগাতে উসকানি দিয়েছিল।

সম্প্রতি কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব অভিযোগ করেন।

ওই সাক্ষাৎকারে আলজাজিরার সাংবাদিক মেহেদি হাসান অরুন্ধতীর কাছে জানতে চান, পাক-ভারত উত্তেজনা বিষয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম কেমন ভূমিকা রেখেছে?

জবাবে অরুন্ধতী বলেন, কিছু কিছু ভারতীয় মিডিয়া পাক-ভারত উত্তেজনা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। সেসব মিডিয়াকে কাশ্মীর ইস্যুতে সরাসরি যুদ্ধের আহ্বান জানাতে দেখা গেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, সেই সময় একটি টেলিভিশন চ্যানেলের উপস্থাপককে বলতে শোনা গেছে- ‘নিন্দা জানানোতে আমাদের কিছু যায়-আসে না। আমরা রক্ত চাই।’

সংবাদমাধ্যম কীভাবে এমন বক্তব্য উপস্থাপন করতে পারে তা বিস্ময়ের ব্যাপার বলে জানান তিনি। অরুন্ধতী বলেন, তবে আরও বিষয়ের ব্যাপার হলো- ভারতে ৪০০টির মতো ২৪ ঘণ্টা সংবাদ পরিবেশনকারী টেলিভিশন চ্যানেল আছে। এদের অনেকেই নির্বিচারে ভুয়া সংবাদ প্রকাশ করছে। সরকারের পতনেও এসব চ্যানেল ঠিকই টিকে থাকবে।

এর কারণ হিসেবে অরুন্ধতী রায় বলেন, এসব ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বেশিরভাগের মালিক অস্ত্র ব্যবসায়ী ও বড় বড় প্রতিষ্ঠান। তাদের শেকড় বেশ গভীরে।

ভারতের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান একাই ২৭টি চব্বিশ ঘণ্টা চালু টেলিভিশন সংবাদ চ্যানেলের মালিক তথ্য দিয়ে তিনি জানান, এখানে স্বার্থের সংঘাত অবিশ্বাস্য মাত্রায় বেশি।

এমআই