খাসোগি হত্যাকারীরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল

খাসোগি হত্যাকারীরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল

ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক ডেভিড ইগনেসিয়াস নতুন এক নিবন্ধে দাবি করেছেন, খাসোগি হত্যার সঙ্গে জড়িত সৌদি ঘাতক দলের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল।

রিয়াদ থেকে পাঠানো ১৫ জনের দলটি প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। খাসোগির লাশের সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি। ডেভিড ইগনেসিয়াসের সঙ্গে এক ডজনের বেশি সৌদি এবং মার্কিন সূত্রের কথা হয়েছে, যারা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক। ডেভিড বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আরকানসাসভিত্তিক কোম্পানি টায়ার ওয়ান গ্রুপের কাছে স্পেশাল অপারেশনের প্রশিক্ষণ নেয় খাসোগির খুনিরা।

দ্বিপাক্ষিক সামরিক চুক্তি অনুযায়ী, সৌদির গোয়েন্দা এবং প্রতিরক্ষা বাহিনীর গুপ্তচরদের প্রশিক্ষণ দেয় যুক্তরাষ্ট্র। খাসোগির খুনিরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষণ নেয় সেই চুক্তির আওতায়। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের তত্ত্বাবধানে এই প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়।

এদিকে সাংবাদিক জামাল খাসোগির খুনের ঘটনার খবর প্রচার বন্ধ করতে দ্য ওয়াশিটংন পোস্টের মালিক জেফ বেজোসের মোবাইল ফোন হ্যাক করার অভিযোগ উঠেছে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে।

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশেই এমনটি করা হয়েছিল। গত বছরের ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটেই খুন হন খাসোগি। ফোনে আড়িপাতার এই ঘটনাটির সঙ্গে খাসোগি হত্যা নিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত সংবাদের সম্পর্ক আছে বলে জানিয়েছেন বেজোসের ব্যক্তিগত গোয়েন্দা গ্যাভিন ডি বেকার।

বিবিসি জানায়, ন্যাশনাল এনকোয়ারার ট্যাবলয়েডে তাকে নিয়ে যে ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্য প্রকাশিত হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে প্রাইভেট গোয়েন্দা হিসেবে বেকারকে নিয়োগ দেন বেজোস। বেজোসের মোবাইল ফোন থেকেই হ্যাকাররা বের করেছিল তার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের গোপন ছবি ও চিঠিপত্র।

খাসোগি হত্যার তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ বন্ধ করতে এনকোয়ারার ম্যাগাজিনের তরফে হুমকি ফোন গিয়েছিল বেজোসের কাছে। ওয়াশিংটন পোস্টের মালিক বেজোসকে বলা হয়েছিল, খাসোগি হত্যার পেছনে কারা তা খুঁজে বের করার দরকার নেই।

ওই সম্পর্কিত খবর বেরোলে বেজোসের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের গোপন ছবি ও চিঠি প্রকাশের হুমকি দেয়া হয়। বেকার বলেন, ‘বেজোস পিছিয়ে যেতে রাজি হননি।

কয়েদিদের গরম লোহার ছ্যাঁকা দেয় সৌদি : ঠিকমতো খেতে দেয়া হয় না কয়েদিদের। চরম অপুষ্টিতে ভুগছে। সেই ক্ষুধার্ত ও অপুষ্ট শরীরেই দেয়া হয় গরম লোহার ছ্যাঁকা। ছ্যাঁকায় ছ্যাঁকায় কালশিটে দাগ পড়ে যায়।

এখানেই শেষ নয় ছুরি-কাঁচি দিয়ে চিরে চিরে দেয়াহয় পুরো শরীর। ফলে নড়াচড়া বা হাঁটার ক্ষমতা থাকে না তাদের। এভাবেই রাজবন্দিদের ভয়াবহ নির্যাতন করছে সৌদির কারা কর্তৃপক্ষ।

গত সপ্তাহে ফাঁস হয়ে যাওয়া নথিতে উঠে এসেছে সৌদির কারা নির্যাতনের এমন লোমহর্ষক চিত্র। ‘মেডিকেল রিপোর্ট’ নামে ওই নথির কিছু অংশ গার্ডিয়ানের হাতে এসেছে।

এমজে/