চাঁদে অবতরণের আগেই ইসরাইলের চন্দ্রযান ভেঙে চুরমার

চাঁদে অবতরণের আগেই ইসরাইলের চন্দ্রযান ভেঙে চুরমার

চাঁদে অবতরণের ঠিক আগ মুহূতেই ভেঙে চুরমার হয়ে গেল ইসরাইলের চন্দ্রযান ‘বেরেশিত’। সফল হল না দেশটির চাঁদ ছোঁয়ার স্বপ্ন।

বৃহস্পতিবার চাঁদের বুকেই বিধ্বস্ত হল নভোযানটি। এটি ছিল চাঁদে যাওয়ার জন্য বিশ্বের প্রথম ব্যক্তিগত অর্থায়নে পরিচালিত অভিযান। খবর এএফপির।

মহাকাশযানটি চাঁদে ‘সফট ল্যান্ডিং’ বা নিয়ন্ত্রিত অবতরণের চেষ্টা করছিল। এতে সফল হলে ইসরাইল হতো চাঁদে এ ধরনের অবতরণে সফল চতুর্থ দেশ।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং চীন এ ধরনের অভিযানে সফল হয়েছে। চন্দ্রযান বিধ্বস্তের খবর জানিয়ে ইসরাইল অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ স্পেস ডিভিশনের ম্যানেজার অফের ডোরোন বলেন, ‘আমি দুঃখিত যে, আমাদের নভোযানটি আস্ত অবস্থায় চাঁদে নামতে পারেনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পুরো পথ পাড়ি দিয়ে চাঁদে গিয়েছিলাম। এটা একটা বিরাট সাফল্য। চাঁদের পথ পুরোটা অতিক্রম করা সপ্তম দেশ আমরা।’

একশ’ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত মহাকাশযানটি তৈরি করেছিল স্পেস-আইএল এবং ইসরাইল অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ। চাঁদে অবতরণের প্রক্রিয়া চলার সময় ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে এটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

যোগাযোগ পুনঃস্থাপনের চেষ্টা করার সময় নভোযানের ইঞ্জিনেও সমস্যা দেখা দেয়। এরপর অবতরণের জন্য নির্ধারিত সময়ের ঠিক আগ মুহূর্তে চাঁদের বুকে আছড়ে পড়ে মহাকাশযানটি। আট বছর আগে স্পেস আইএল প্রতিষ্ঠা করা হয় গুগলের লুনার এক্সপ্রাইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য। ব্যক্তিগত অর্থায়নে চাঁদে নভোযান পাঠানোর মাধ্যমে উচ্চমানের ভিডিও পাঠানোর জন্য একটি দলকে ২০ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হয় ওই প্রতিযোগিতায়। চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি এটি চাঁদের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল।

চাঁদের জম্ম হয়েছিল কিভাবে ? চাঁদ থেকে আনা পাথর বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা চাঁদের জন্ম সম্পর্কে তথ্য দিলেন। সম্প্রতি এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ৪৫০ কোটি বছর আগে পৃথিবীর বুকে মঙ্গল গ্রহের আয়তনের একটি গ্রহ আছড়ে পড়েছিল। এর ফলেই চাঁদের জন্ম হয়েছিল।

চীনের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা নাসার তিনটি চন্দ্র পৃষ্ঠ থেকে আনা পাথর বিশ্লেষণ করে সেখানে ক্লোরিন আইসোটপের সন্ধান পেয়েছেন- যা শুধু উচ্চমানের সংঘাতে তৈরি হয়।

বুধবার চীনে এক রিপোর্টে এ খবর প্রকাশিত হয়েছে। নতুন এ গবেষণার ফলে চাঁদের জন্মের ইতিহাস সম্পর্কে নতুন দিগন্ত খুলে গেল। গবেষকরা জানিয়েছেন, মঙ্গলের মতো আয়তনের একটি বস্তুর সঙ্গে ধাক্কা লেগেছিল পৃথিবীর। এই ধাক্কার ফলেই চাঁদের জন্ম। এই ধাক্কা তত্ত্বের ফলে একাধিক প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেল।

এমজে/