হ্যানয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ‘উদ্দেশ্য সৎ ছিল না’, অভিযোগ কিমের

হ্যানয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ‘উদ্দেশ্য সৎ ছিল না’, অভিযোগ কিমের

ভিয়েতনামের হ্যানয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হওয়া শীর্ষ বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘উদ্দেশ্য সৎ ছিল না’ বলে অভিযোগ করেছেন উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উন।

কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়টি পুরোপুরিই যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

ভ্লাদিভস্তকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বৃহস্পতিবার তিনি এ মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ।

২০১১ সালের পর উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে এটিই প্রথম শীর্ষ বৈঠক।

এর আগে ২০০২ সালে পুতিন কিমের বাবা, উত্তর কোরিয়ার তখনকার শাসক কিম জং ইলের সঙ্গে বসেছিলেন।

ইল সর্বশেষ ২০১১ সালে রাশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদভের সঙ্গে বৈঠক করেন।

বৃহস্পতিবারের বৈঠকে পুতিন উত্তর কোরিয়া সফরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন বলেও জানিয়েছে কেসিএনএ।

‘সুবিধামতো কোনো এক সময়ে’ ওই সফর হবে, জানিয়েছে তারা।

কোরীয় উপদ্বীপ ও ওই অঞ্চলের পরিস্থিতিতে অচলাবস্থা বিরাজ করছে এবং এটি একটি জটিল পর্যায়ে পৌঁছেছে, বৃহস্পতিবারের বৈঠকে কিম পুতিনকে এমনটাই জানিয়েছেন বলে ভাষ্য কেসিএনএ-র।

সাম্প্রতিক আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র যে একতরফা অবিশ্বাস ও সন্দেহবাতিকগ্রস্ততা দেখিয়েছে তাতে পরিস্থিতি আগের অবস্থায় ফেরত যেতে পারে বলেও কিম সতর্ক করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার জন্য সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ওয়াশিংটনকেই দায়ী করছে পিয়ংইয়ং।

পারমাণবিক কর্মসূচিতে লাগাম টানার বিনিময়ে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে মতবিরোধে ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার ওই শীর্ষ বৈঠক কোনো সমঝোতা ছাড়াই শেষ হয়।

ভ্লাদিভস্তকের বৈঠকে রুশ প্রেসিডেন্টের অবস্থান ছিল ‘বিরোধ নিষ্পত্তিকারীর’ মতো, বলছে বিবিসি।

পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধের বিনিময়ে উত্তর কোরিয়ার আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা নিশ্চয়তা প্রয়োজন, বলেছেন পুতিন। কিমকে এ প্রস্তাব ‘বহুজাতিক কাঠামোর’ মাধ্যমে দিতে হবে বলেও মত তার।

“আমাদের ওই পরিস্থিতিতে ফেরা দরকার, যেখানে আন্তর্জাতিক আইনই বিশ্ব পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রক হবে; শক্তিমানের আইন নয়,” বলেছেন তিনি।