১৪৩ আরোহী নিয়ে রানওয়ে থেকে নদীতে বিমান

১৪৩ আরোহী নিয়ে রানওয়ে থেকে নদীতে বিমান

রানওয়ে থেকে পিছলে নদীতে গিয়ে পড়ল একটি বোয়িং ৭৩৭ বিমান। তবুও বরাত জোরে বেঁচে গেলেন ওই বিমানে থাকা ১৪৩ জন। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ফ্লোরিডার জ্যাকসনভিলের নৌসেনা ঘাঁটিতে। ১৩৬ জন যাত্রী ও ৭ জন ক্রু মেম্বারকে নিয়ে বিমানটি কিউবার গুয়েনতানামো বে নৌসেনা ঘাঁটি থেকে ফ্লোরিডার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। অবতরণের সময় সেটি রানওয়ে থেকে পিছলে সেন্ট জনস নদীতে পড়ে যায়। এত বড় দুর্ঘটনা ঘটলেও কেউই নিহত বা আহত হননি বলে জ্যাকসনভিলের নৌসেনার ঘাঁটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। বিমানটি মিয়ামি এয়ার ইন্টারন্যাশনালের। কিন্তু সংস্থার পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।

নৌবাহিনীর কমান্ডিং অফিসার ক্যাপ্টেন মাইকেল কননোর এই দুর্ঘটনা নিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। গোটা বিষয়টিকে ‘মিরাকল’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। তার কথায়, ‘এটা মিরাকল। যেভাবে ঘটনাটি ঘটেছে, তাতে আরো বড় ক্ষতি হতে পারত। আমরা হয়তো আরো বড় ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে কথা বলতাম।’

প্রশাসন সূত্রে খবর, বিমানটি ডুবে যায়নি। বেশিরভাগ অংশই নদীর উপর ভাসছিল। ২১ জনকে স্থানীয় হাসপাতলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। প্রত্যেকেই সুস্থ আছেন। যাত্রীদের মধ্যে সাধারণ নাগরিক ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাও ছিলেন। এদিকে, জ্যাকসনভিল বিমানবন্দর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত অরেঞ্জ পার্ক থেকে এই দুর্ঘটনার শব্দ পাওয়া গেছে বলে খবর। শুক্রবার রাতে এর আওয়াজ শুনতে পান বলে জানিয়েছেন লিজ টোরেজ নামে এক মহিলা।

দুর্ঘটনার পরই নৌসেনার বিপর্যয় মোকাবিলা দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজে হাত লাগায়। এছাড়া এই ধরনের ঘটনার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষিত বাহিনীর সদস্যরাও কিছুক্ষণের মধ্যেই যোগ দেয়। কী কারণে বিমানটি রানওয়ে থেকে পিছলে গেল, তার কারণ এখনো সরকারিভাবে জানানো হয়নি।

এদিকে, বিমানটিকে নদী থেকে তোলার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। বোয়িং ৭৩৭-টির সামনের চাকা নদীবক্ষে আটকে গেছে। তাই কোথাও ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়াও সম্ভব হচ্ছে না। এই অবস্থায় সম্ভাব্য সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে প্রশাসন।

এমজে/