ওয়াশিংটন থেকে মুশফিকুল ফজল আনসারী
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে তদন্ত করা দেশটির বিশেষ কৌঁসুলি রবার্ট মুলার তদন্ত নিয়ে প্রথম বারের মতো মুখ খুলেছেন। তাঁর বক্তব্য হলো- “প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অপরাধী হিসেবে অভিযুক্ত করাটা তদন্তের কোনো উদ্দেশ্য ছিলোনা। আমরা যদি আস্থা রাখি প্রেসিডেন্ট কোনো অপরাধ করেননি, তবে আমাদের তা-ই বলতে হবে।”
বুধবার সকালে ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসে’র ব্রিফিং রুমে এসে হাজির হয়ে এক লিখিত বক্তব্যে এমন অভিমত ব্যক্ত করেন দীর্ঘ দিন ধরে তদন্ত কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেয়া ওই বিশেষ কৌঁসুলি।
মুলার আরো বলেন, “তদন্তে প্রেসিডেন্টকে একেবারে দায় থেকে মুক্তিও দেয়া হয়নি। নিয়ম অনুযায়ীই একজন ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টকে সরাসরি অভিযুক্ত করা যায় না।”
কংগ্রেসের সামনে সাক্ষ্য দেবার বিষয়ে নিজের ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করে বিশেষ কৌঁসুলি মুলার বলেন, “রিপোর্টে যা নেই তার বাইরে আমি কিছু বলবো না।”
মুলারের এ বক্তব্যের পর টুইটারে এর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। নিজেকে নিরাপরাধ উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, “মুলার রিপোর্টে কোনো পরিবর্তন আসেনি। এখানে ছিলো অপর্যাপ্ত প্রমাণাদি, ফলে আমাদের দেশে একজন ব্যক্তি নির্দোষ। মামলার সমাপ্তি হয়ে গেছে। আপনাকে ধন্যবাদ।”
২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়া হস্তক্ষেপ করেছে এমন অভিযোগ জোরালো হবার পর সে বিষয়ে তদন্ত করার জন্য নিয়োগ দেয়া হয় মুলারকে। ৪৪৮ পাতার মুলার প্রতিবেদনে সম্পৃক্ততার কোনো প্রমাণ না পেলেও তদন্তে প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে ১০ বারের মতো বাধা এসেছে তা উঠে এসেছে।
রিপোর্টে যা প্রকাশ হয়েছে মুলারের বক্তব্যে ছিলো তারি প্রতিধ্বনি। মুলার সে প্রসঙ্গে বলেন, “আমি এবং আমার তদন্তকারি দলের কাছে যদি এ ধরনের কোনো তথ্য থাকতো যে ট্রাম্প একেবারেই কোনো অপরাধ করেননি, তাহলে সেটাও বলতাম। আর প্রেসিডেন্ট অপরাধ করেছেন বলে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সেটাকে প্রমাণের কোনো চেষ্টা আমরা করিনি।”
তিনি বলেন, “একজন ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টকে কোনো অপরাধে অভিযুক্ত করার ক্ষেত্রে সাংবিধানিক কিছু বাধ্য-বাধকতা আছে। এটা অন্যান্য অপরাধীর মতো কোনো বিষয় নয়।”
মুলার বলেন,“তদন্ত নিয়ে এর বেশি কিছু বলাটা যুক্তিযুক্ত হবেনা।" তদন্ত করে যেটা বের হয়ে এসেছে এর বাইরে কোনোকিছু বলতে অনাগ্রহ জানান তিনি।”
বিশেষ কৌঁসুলি হিসেবে তাঁর দায়িত্ব শেষ হবার নিজেকে সময় দিবেন বলে জানান মুলার।
জিএস/