উ. কোরিয়ায় ইতিহাস সৃষ্টি করলেন ট্রাম্প

উ. কোরিয়ায় ইতিহাস সৃষ্টি করলেন ট্রাম্প

দক্ষিণ কোরিয়া সফররত যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সবাইকে অবাক করে দিয়েই উত্তর কোরিয়ার সীমান্তে প্রবেশ করলেন। আর দেশটির ইতিহাসের প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে বৈরী দেশের সঙ্গে তৈরি করলেন সম্প্রীতির এক ইতিহাস।

দুই কোরিয়ার সীমান্তে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ট্রাম্প। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, দুই নেতা নিরস্ত্রীকরণ অঞ্চলে এক সংবাদ সম্মেলনে বসেছেন। কিম বলেন, তাদের এই সাক্ষাৎ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

দক্ষিণ কোরিয়া সফররত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেখানে পৌঁছানোর আগে টুইটার মারফত উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনের সঙ্গে দুই কোরিয়ার মধ্যবর্তী অসামরিক জোনে ক্ষণিকের জন্য হলেও দেখা করার প্রস্তাব করেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, প্রথম যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট হিসেবে উত্তর কোরিয়ার অভ্যন্তরে যেতে পারাটা তার জন্য অত্যন্ত আনন্দের হবে। এরপরই সবাইকে অবাক করে উত্তর কোরিয়ার অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন তিনি।

ভয়েস অব আমেরিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদেশ সফরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রায়শই বিক্ষোভের মুখোমুখি হয়ে থাকেন; তবে দক্ষিণ কোরিয়া সফরে তার ব্যতিক্রমটি লক্ষণীয়। এখানে রাস্তায় রাস্তায় পথে-প্যারেড ও মার্চে বেশির ভাগ বয়স্ক জনগণ ও রক্ষণশীল সক্রিয়তাবাদীরা যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার পতাকা নেড়ে যুক্তরাষ্ট্রপন্থী স্লোগান তুলে থাকেন। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ৭০ বছরের ঐক্য-জোট কিছুটা হলেও ম্লান হয়েছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উত্তর কোরিয়ামুখী আচরণের কারণে।

রবিবার দুই কোরিয়ার সীমান্তে নিরস্ত্রীকরণ অঞ্চলে ট্রাম্প-কিমের সাক্ষাতের পর আলোচনায় বসেন দুই নেতা। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের মেয়ে ও উপদেষ্টা ইভানকা ট্রাম্পসহ জামাতা জারেড কুশনার সে সময় উপস্থিত ছিলেন।
পরে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে কিম বলেন, তাদের এই সাক্ষাৎ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, 'ভবিষ্যতে আমাদের সব আলোচনায় এই সফর ইতিবাচক প্রভাব রাখবে বলে বিশ্বাস করি।'

সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, উত্তর কোরিয়া সীমান্তে পা রাখতে নিজেকে গর্বিত মনে করছেন তিনি। কিমের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'আপনার সঙ্গের এই মুহূর্ত উপভোগ করছি আমি।'

প্রসঙ্গত, গত বছরের জুনে সিঙ্গাপুরে ট্রাম্প-কিম ঐতিহাসিক বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে এক সমঝোতা চুক্তি হয়। যৌথভাবে কোরিয়া উপদ্বীপকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করার ব্যাপারে একমত হন তারা। পরে এবছরের ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় দফায় ভিয়েতনামে বৈঠকে মিলিত হন ট্রাম্প ও কিম। কিন্তু ট্রাম্প অসম্মানজনক প্রস্তাব দিয়েছেন দাবি করে বৈঠক ছেড়ে বের হয়ে আসেন কিম।