দ. চীন সাগরে ভাসমান পরমাণু প্রকল্প

দ. চীন সাগরে ভাসমান পরমাণু প্রকল্প

সাগরে কৃত্রিম দ্বীপ আগেই তৈরি করেছিল। এবার ভাসমান পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র। দক্ষিণ চীন সাগরে কর্তৃত্ব আরও দৃঢ় করতে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে বেইজিং।

কৃত্রিম দ্বীপে তৈরি করা বিশাল সামরিক পরিকাঠামো চালু রাখতে প্রচুর বিদ্যুতের প্রয়োজন। তাই মাঝ সাগরেই বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করছে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সরকার।

২০২০ সালের মধ্যেই ‘নতুন প্রজন্মের’র কয়েকটি ভাসমান পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হবে জানিয়েছেন দেশটির বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিবিষয়ক মুখপাত্র।

গত বছরের মার্চে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনার কথা জানায় চীন। বিদ্যুৎ প্রকল্প ছাড়াও সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান জোরদার করার কথাও জানানো হয়।

আর ভাসমান পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের মাধ্যমে এ তৎপরতা জোরদার হবে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানায়, এ রকম পারমাণবিক চুল্লিকে স্থানীয় ভাষায় ‘হেদিয়ানবাও’ বা বহনযোগ্য পারমাণবিক ব্যাটারি প্যাক নামে অভিহিত করা হয়।

প্যারাসেল আইল্যান্ডস আর স্প্র্যাটলি আইল্যান্ডসসহ বিতর্কিত অন্যান্য দ্বীপপুঞ্জে বিদ্যুৎ শক্তির জোগান দিতে এই উদ্যোগ। চীনে বর্তমানে ৩৬টি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। নির্মাণ কাজ চলছে আরও ২১টির।

প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, প্যারাসেল আইল্যান্ডস আর স্প্র্যাটলি আইল্যান্ডস এখন হল পৃথিবীর মানচিত্রে সেই কয়েকটি বিন্দু, যেগুলোকে ঘিরে আন্তর্জাতিক রাজনীতি এখন সবচেয়ে বেশি উত্তপ্ত।

মধ্য এশিয়ার বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ এবং গৃহযুদ্ধ চলছে ঠিকই। কিন্তু দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের তৈরি কৃত্রিম দ্বীপ প্যারাসেল আর স্প্র্যাটলিকে ঘিরে পৃথিবীর বৃহত্তম শক্তিগুলো যেভাবে হুশিয়ারি আর পাল্টা হুশিয়ারি ছুড়তে শুরু করেছে পরস্পরকে, তাতে বড় বিপদ ঘনিয়ে আসার আশঙ্কা কেউই উড়িয়ে দিচ্ছেন না।

যুক্তরাষ্ট্রসহ ন্যাটোভুক্ত সব দেশ এবং জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ভারত এবং দক্ষিণ চীন সাগরের আশপাশে অবস্থিত অনেক দেশই বলছে, আন্তর্জাতিক জলসীমায় ঢুকে কৃত্রিম দ্বীপ বানিয়েছে চীন।

কিন্তু সব অভিযোগ নস্যাৎ করে চীন পরিকাঠামো বাড়িয়ে চলেছে কৃত্রিম দ্বীপে। ওয়াশিংটন একাধিক বার চীনের তৈরি কৃত্রিম দ্বীপের আশপাশে যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়ে চীনকে বুঝিয়ে দিতে চেয়েছে, দক্ষিণ চীন সাগরে বেজিংয়ের আধিপত্য কায়েমের চেষ্টা মেনে নেবে না তারা।

এমজে/