হংকংয়ে ফের পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ

হংকংয়ে ফের পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ

আরও একটি সহিংস আন্দোলনে মুখর রাতের দেখা পেল হংকং। পুলিশ ও গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীদের মধ্যে আজ সোমবার টানা দ্বিতীয় দিনের মতো সংঘর্ষ চলছে। পুলিশের বর্বরতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আন্দোলনকারীরা। এ আন্দোলনকে ১৯৯৭ সালের পর এশিয়ার অর্থনৈতিক কেন্দ্রটির সবচেয়ে বড় সংকট বলে ঘোষণা করেছে বেইজিং। খবর রয়টার্সের।

সাবেক ব্রিটিশ উপনিবেশ হংকং ১৯৯৭ সালে চীনের অধীন থেকে মুক্ত হয়। এরপর থেকে ‘এক রাষ্ট্র দুই নীতি’র অধীনে পরিচালিত হচ্ছে হংকং। চলমান আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে বেইজিংয়ের হংকং এবং ম্যাকাউ–বিষয়ক অফিসের পক্ষ থেকে আজ সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাতটায় এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা বেইজিংয়ের জন্য খুবই বিরল।

গতকাল রবিবার থেকে আন্দোলনকারী এবং পুলিশের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ চলছে। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়লে বিক্ষোভকারীরা ক্রমেই উত্তেজিত হয়ে ওঠে। টানা দ্বিতীয় সপ্তাহান্তে প্রতিবাদকারীদের কাছ থেকে হংকংয়ে চীনের প্রধান প্রতিনিধি কার্যালয় রক্ষা করতে চেয়েছিল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, অননুমোদিত সমাবেশ, আপত্তিকর অস্ত্র ধারণসহ নানা অপরাধের জন্য রোববারের প্রতিবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সন্দেহে কমপক্ষে ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

হংকংয়ে প্রস্তাবিত বিতর্কিত প্রত্যর্পণ আইন নিয়ে বিক্ষোভে প্রায় ২০ লাখ মানুষ অংশ নিয়েছিল বলে দাবি করেছে আয়োজকেরা। প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছিল, চীন চাইলে সন্দেহভাজন অপরাধীকে হংকং থেকে নিজ ভূখণ্ডে নিয়ে বিচারের মুখোমুখি করতে পারবে।

এর আগে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে ১ জুলাই। সেদিন ছিল হংকংকে ব্রিটেনের কাছ থেকে চীনা শাসনের কাছে হস্তান্তরের ২২ বছর পূর্তি। প্রত্যর্পণ আইনের প্রতিবাদ জানিয়ে আইনসভা কাউন্সিল (লেগকো) দখল করে রাখেন কয়েকজন আন্দোলনকারী। তাঁদের সমর্থন দেয় উপস্থিত হাজারো জনতা। অনুপ্রবেশকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে পুলিশ। রাবারের গুলির আঘাতে আহত হয় অনেকে। এতে জনতার ক্ষোভ আরও বেড়ে যায়। অনেকে আশঙ্কা করছেন, বেইজিং স্বাধীনতাকামী হংকংবাসীর স্বাধীনতা ক্রমেই খর্ব করছে।

হংকংয়ের বেইজিংপন্থী নেতা ক্যারি ল্যাম আন্দোলনকারীদের দাবি মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

একের পর এক আন্দোলনে পঙ্গু হয়ে পড়ছে হংকংয়ের অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান, বন্ধ হয়ে গেছে সরকারি কার্যালয় ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম। হংকংয়ের অর্থনীতির ওপর এই আন্দোলনের ব্যাপক প্রভাব পড়ছে।

এমজে/